শিরোনাম:
সকলের সহযোগিতায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে চায়: ঢাকা সড়ক পরিবহন টঙ্গীবাড়ীতে ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ জনগনের সেবায় জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই- “শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু” যশোরে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার যশোরে ছেলে কর্তৃক পিতা হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছেলে গ্রেফতার ফরিদপুরে গুনবহা প্রি-ক্যাডেট এন্ড মডেল হাইস্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ  টংগিবাড়ীতে রাতের আধারে বিআইডব্লিউটি এর জায়গা দখল করে ঘর তোলার অভিযোগ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন, সভাপতি কবিরুল ইসলাম, সম্পাদক পিয়াল  বেনাপোলে আহত মাসুদের অপারেশনে ২য় দফায় আলোর পথে’র ব্যানারে নগদ অর্থ প্রদান বেনাপোল সীমান্তে শোয়েব বাহিনীর হাতে প্রতারনার শিকার প্রান গেল সেই পাসপোর্টধারীর

টঙ্গীবাড়ীতে ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের এফ,এ(এ/আই) এর বিরুদ্ধে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে পশু চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায় , টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের এফ,এ(এ/আই) জিহাদ হাসান (লিখন) কৃত্রিম প্রজননের দ্বায়িত্বে থাকলেও সর্বদাই নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অফিস টাইমে বাহিরে গিয়ে পশুপাখির চিকিৎসা করছেন এবং খামারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জুড়ে।

আরো জানাযায়, তিনি ১০ এপ্রিল ২০২০ সালে এ ভেটেরিনারি হাসপাতালে এফ,এ(এ/আই) পদে যোগদান করেন এবং পরবর্তি সময় থেকে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে খামারিদের সাথে রীতিমত প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। ভোক্তভোগী খামারীরাও তাকে ডাক্তার হিসেবেই চেনেন।

বৃহস্পতিবার(৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, এফ,এ(এ/আই) জিহাদ হাসান (লিখন) একটি বাছুরের চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেন। সংবাদকর্মী তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসার পর স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংবাদ কর্মীকে ঘুষ অফার করাও হয় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য।

উপজেলার খামারী (পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, মাস খানেক আগে আমার গাভীর সমস্যা হলে লিখন ভাইকে কল দিয়ে বাসায় এনে চিকিৎসা করাই। তিনি ২-৩ টা ইনজেকশন পুষআপ করেই বলে বিল ৩ হাজার টাকা, পরে ২৫শত টাকা দিয়েছিলাম তাকে। আমরা জানি সে (লিখন) ডাক্তার না। কি আর করব, ভেটেরিনারি হাসপাতালে ডাক্তারদের সহজে পাওয়া যায় না তাদের ভিজিটও অনেক বেশি। তাই কোনোরকমে গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। ঝুকি নিয়েই অফিসের কর্মচারীদের দিয়েই চিকিৎসা করাচ্ছি।

নাম প্রকাশ না শর্তে অফিসটির এক কর্মচারী বলেন, এফ,এ(এ/আই) জিহাদ হাসান (লিখন) নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু এটা সম্পুর্ণ অনৈতিক। মানুষের সাথে প্রতারণা করা উচিত নয়। তবে আমাদের অফিসের উর্ধতণ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই এ কাজ করছেন তিনি সহ আরো অনেকে। এ অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। এ আইন বহির্ভূত ভাবে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন নুন্মতম ৮/১০ হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন তারা। যা মাসে মোটা অঙ্ক হয়ে দাড়ায়। তদন্ত স্বাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

এবিষয়ে অভিযুক্ত এফ,এ(এ/আই) জিহাদ হাসান (লিখন) বলেন, আমাদের এখানে জনবল সংকট, তাই আমি বাহিরে চিকিৎসা করি আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কনসালটেন্ট করে, তাদের নির্দেশনা অনুসারে আমরা কাজ করি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিতে পারি ফিল্ডে। স্যারদের অনুমতি নিয়েই আমি বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা করি। তারাইতো আমাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে। এখানে আমার তো কোনো ভুল দেখি না। আমার মতো আরো অনেকে আছে যারা চিকিৎসা দিতেছে। এর পর তিনি উক্ত সংবাদকর্মীকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে ঘুষ অফারও করেন।

এফ,এ(এ/আই) জিহাদ হাসান(লিখন) চিকিৎসা দিতে পারে কি না জানতে চাইলে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ কালীশংকর পাল বলেন, আমি আজকে ছুটিতে আছি। এফ,এ(এ/আই) চিকিৎসা দিতে পারে না। আমার অনুপস্থিতিতে আমার কম্পাউন্ডার ট্রিটমেন্ট করতে পারে, আমার পরিবর্তে আমার কম্পাউন্ডার দ্বায়িত্বে আছে। আমাদের যে স্যার আছে নজরুল ইসলাম স্যারও (ট্রিটমেন্ট) করতে পারে। এআই কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে যদি সে চিকিৎসা দেয় সেটা আইন সিদ্ধ না, আইন বহির্ভূত। আপনি যদি আমার কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। আমার উর্ধতন কর্মকর্তা যিনি আছে- উনি হচ্ছে উনাকে(জিহাদ)কে দ্বায়িত্ব দিয়েছে সম্ভবত।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম দেওয়ান বলেন, আমাদের সাথে আলোচনা করেইতো সে এই জিনিসটা(চিকিৎসা) করে। আমরা যারা বিসিএস অফিসার ডাক্তার আছি তাদের সাথে বুঝ-পরামর্শ করেই ডাক্তারি করে। ভেটেরিনারি সার্জন ও আমি দুজনই রেজিস্টার করা ডাক্তার আমরা দুজনে। তারা তো আর রেজিস্টার করা ডাক্তার না। সে কৃত্রিম প্রজননের দ্বায়িত্বে আছে, এটাই তার দ্বায়িত্ব। আমরা বুঝ-পরামর্শ দিয়ে তারা যেন ডাক্তারি করতে পারে সহযোগিতা করতেছি।

তিনিতো (লিখন) নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিচ্ছে প্রশ্ন করলে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এটা তাহলে ভুল করছে। আমি তাকে বুঝিয়ে ডিলিট করে দিবোনে। নিউজ-টিউজ করার দরকার নাই। আমি বুঝিয়ে ট্রেইনাপ করে দিবোনে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ