নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলা খিদিরপাড়া ইউনিয়ন ঘাসভোগ ৮ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার সকালে ১১ ঘটিকায় অনলাইন পোর্টাল বিক্রমপুর চিত্রে ভিডিও আকারে মিথ্যা তথ্য ও জনপ্রতিনিধি ছবি ও নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে লৌহজ উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ঘাসভোগ এলাকায় ডহরী-তালতলা খালের পোড়াগঙ্গা খালের প্রবেশমুখে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সভায় বক্তারা বিক্রমপুর চিত্র অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দাবি করেন এলাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছেন।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কৃষি জমি ৪২ শতাংশের মালিক মোঃ আজিজুল হক তিনি বলেন,আমি স্বেচ্ছায় জমিটি থেকে মাটি কাটার জন্য বলেছি। আমার জমিটি দীর্ঘদিন অনাবাদি পড়ে রয়েছে। আমি কোন ফসল উৎপাদন করতে পারছি না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাসে মাঠভরাট কাজে মাটি দিতেছে সাথে সনাতন ধর্মীয় মেলা বসানো হয় ওখানে মাটি কোন অর্থ ছাড়াই দিয়েছি।
সরকারি খালের মাটি নয়, ব্যক্তিগত জমির মাটি কাটা হয়েছে। জমি থেকে সরকারি খাল বেশ দূরে। তারা জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম মৃধা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদকে জড়িয়ে যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানান। আবদুল আজিজ, মোকাজ্জল হোসেন ও আবুল কাশেম নামে তিন জমির মালিক জানান, তাদের তিনজনের ১৫৭ শতাংশ জমি থেকে মাটি কেটে সরকারি উন্নয়ন কাজে লাগানো হয়েছে। খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুল আহমেদ বলেন, যেখান থেকে মাটি কাটা হয়েছে, সেটা সরকারি খাল না। খাল অনেক দূরে। আমরা ৪/৫ শত গ্রামবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে খালকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে ইউএনওর কাছে দরখাস্ত করেছি। একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য শিরিন আক্তার বলেন, ধাইরপাড়া গ্রামে বটতলা গলিয়াখোলা নামে একটা জায়গা আছে। যেখানে প্রতি বছর বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। সেই মাঠটির উন্নয়নের জন্য মাটি নেওয়া হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত কাজে এ মাটি ব্যবহার করা হয়নি। আর খাল নয় তিন জমির মালিক স্বেচ্ছায় মাটি দিয়েছেন। অনলাইন পোর্টালে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির কথা বলা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাছাড়া দুজন জনপ্রতিনিধিকে হেয় করে সম্মান নষ্ট করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।