বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোংলা কাস্টমস হাউজের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মতিয়ার রহমান (৬৬) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মোঃ মতিয়ার রহমানের অর্জিত এবং দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শিত চারতলা ভবনটি খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২-এর তিন সদস্যের প্রকৌশলী টিম গত ৬ মার্চ পরিমাপ করেন। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর পরিমাণে ভবনটির মূল্য ৮২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮১ টাকা নিরুপিত হয়। কিন্তু মতিয়ার রহমান তার জবানবন্দিতে ভবনটির নির্মাণ ব্যয় মাত্র ৩৬ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। অর্থাত্ তিনি ভবনটির নির্মাণ ব্যয়ে ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৮১ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, তিনি খুলনার দৌলতপুরস্থ তেলগাতী মৌজা ০ দশমিক ০৩০০ একর বাস্তজমি ৫ লাখ টাকায় তার পুত্র বেলাল ফকিরের নামে কিনেছেন, যা তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ মতিয়ার রহমান সম্পদ বিবরণীতে ৫১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮১ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য কমিশনে দাখিল না করে গোপন করেছেন। আসামি মতিয়ার রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১১ লাখ ২৯ হাজার ২৪০ টাকার অস্থাবর সম্পদের উল্লেখ করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ১৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি ৮ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য কমিশনে দাখিল না করে গোপন করেছেন। গোপনকৃত অস্থাবর সম্পদের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কাস্টম হাউজ খুলনা শাখায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৭০ টাকা এবং পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মীরেরডাংগা শাখা, খান এ সবুর রোড, খানজাহান আলী, খুলনায় ৭ লাখ ২১৫ টাকা গোপন করেন।
এছাড়া মতিয়ার রহমান তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। যাচাইকালে মতিয়ার রহমানের স্থাবর ও অস্থাবরসহ ১ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া উক্ত সম্পদের বিপরীতে তার সর্বমোট ৫২ লাখ ৮ হাজার ৯৫২ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়।