এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোল বাজার ও আন্তজার্তিক চেকপোস্ট এলাকায় অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোতে কিছু হোটেল মানলেও বেশিরভাগ হোটেলগুলোতে প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অধিকাংশ হোটেলে মেনু লিস্ট না টাঙিয়ে খাওয়া শেষে অতিরিক্ত অর্থ আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এ সকল হোটেল গুলোতে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতে ও পরিবেশন গতভাবে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবহারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। অধিকাংশ হোটেলগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না এবং বাসনপত্র ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। অনেক সময় পচা বাসি খাবার গরম করে পরিবেশন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বয় বেয়ারা ও রান্নার কাজে নিয়োজিত লোকদের অনেকেই বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং তাদের অধিকাংশ শ্রমিকের পোশাক পরিচ্ছেদ নোংরা। এ ছাড়া নষ্ট হয়ে যাওয়া তৈল, ময়দা এবং অন্যান্য উপাদান নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকায় ও বেনাপোল বাজারের অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট ও মিষ্টির দোকানগুলোতে নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের বাণিজ্য শহর কোলকাতার যাতায়ার ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় দেশের সিংহভাগ পাসপোর্ট যাত্রীরা এপথেই যাতায়াত করে থাকেন। আর বেনাপোলের এসব হোটেলের বেশিরভাগ কাস্টমার বা ভোক্তাই হচ্ছে চলতি পথের মানুষ। বিভিন্ন পেশার লোকজন। গাড়ি চালক, স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। প্রতিবছর মারা যায় প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এছাড়া, পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশ অনিরাপদ খাবারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রতিবছর মারা যায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর সেনেটারী ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম জানান, আমরা নিয়মিত তদরকি করছি। এরপরও যদি কেউ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।