এস এম মারুফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর-১ (শার্শা) আসনে শুরু হয়ে গেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। চলছে পথসভা, গণসংযোগ, মাইকিং, বিলি হচ্ছে লিফলেট ও টাঙানো হয়েছে পোস্টার।
আগামী ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকেই প্রার্থীরা শুরু করেছেন প্রচারণা। যশোর-১ (শার্শা) আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন ও ট্রাক প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে লড়ছেন আশরাফুল আলম লিটন। এখন প্রতিদিনই গোটা উপজেলার শহর ও গ্রামে দু’জন প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও মাইকিংয়ে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। একই সাথে দিনে ও রাতে প্রার্থীর সমর্থনরা লিফলেট বিতরণ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোটা উপজেলার চিত্র পাল্টে গেছে। মোড়ে মোড়ে টাঙানো হয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার। এ পোস্টার চলে গেছে শার্শা, বেনাপোল হয়ে শহর গ্রাম পর্যন্ত। নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠতে শুরু করেছে শার্শাবাসী। যতদিন পার হবে এ উৎসবের মাত্রা আরো বাড়বে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন আজ সোমবার (১ জানুয়ারী ২০২৩) উপজেলার কাইবা ইউনিয়নের রুদ্রপুর, দাউদখলী, ভবানীপুর, পাচকায়বা, বাদামতলা, বাইকোলা, চালিতাবাড়িয়া, দিঘা রাঘবপুর, মহিষা, ধান্যতাড়া, কোটা, বাগুড়ি বেলতলা, গণসংযোগ শেষে রাড়িপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে জনসমাবেশে যুক্ত হন। এ সভায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কায়বা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বাবলু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাক প্রতিক নিয়ে এ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, পুটখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ গফ্ফার, মৎস বিষয়ক সম্পাদক অহিদুজ্জামান, আ.লীগ নেতা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় আশরাফুল আলম লিটন বলেন, যে মানুষটিকে আমরা ভালোবেসে সংসদ সদস্য বানিয়েছি কিন্তু তিনি দীর্ঘ পনের বছরেও মানুষকে ভালোবাসতে পারেনি। শার্শার মানুষ তাকে একতরফা ভালোবেসেছে, মেহমানদারি করেছে কিন্তু শার্শার মানুষের প্রতি তার বিন্দুমাত্র দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা কখনো দেখিনি। যিনি তিনবারের সংসদ সদস্য হয়েও সংসদে যান না, নির্বাচনী এলাকার মানুষের কষ্টের কথা, পরাজয়ের কথা, প্রয়োজনের কথা, এই ভূৃমি উর্বরতার কথা, তিনি কখনো কি বলেছেন সংসদে- এই এলাকার কৃষক মেহনতি মানুষের কথা, মানুষের চাহিদার কথা কি কখনো সংসদে বলেছেন? কথা বলেন না, তিনি আবারও সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন। এভাবে প্রতিপক্ষের বিভিন্ন ত্রুটির কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, একটানা পনের বছর তো সংসদ সদস্য বানালেন, এবার পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। যদি বিশ্বাস করেন, যদি আপনারা আমাকে ভোট দেন, আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে এই শার্শায় আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দেন, তাহলে আমরা কাজ পাগল একটা গ্রুপ তৈরি করে দেব প্রত্যেকটি ইউনিয়ন থেকে। তাদের কাজই হবে শুধু উন্নয়ন। বাচ্চারা যাতে মাদকের দিকে ঝুঁকতে না পারে সেজন্য খেলাধুলার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে একাডেমি খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
এসময় সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয়। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মাঠ প্রাঙ্গণ।