বেনাপোলে গলায় ফাঁস দিয়ে দম্পতির আত্মহত্যা 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

এস এম, মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে ইয়ামিন ও তনু বেগম নামে এক দম্পতির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যাকারি- ইয়ামিন ইসলাম (২৫) এবং তার স্ত্রী তনু বেগম (২০)। ইয়ামিন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় একজন পল্ট্রি ব্যবসায়ি।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টা হইতে ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে যে কোন এক সময় এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, ইয়ামিনের ফুফাত ভাই মোঃ মামুন হোসেন থানায় হাজির হয়ে লিখিত ভাবে জানাই যে, তার মামাতো ভাই মোঃ ইয়ামিন ইসলাম পল্ট্রি ব্যবসার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল। আর এই জুয়ার কারণে সে অনেক ধার দেনায় জর্জরিত ছিল। ধার দেনা পরিশোধ করার জন্য তার এক মাত্র সম্বল নিজ বসত বাড়ী ভিটা বিক্রি করে দিয়েও তার সম্পূর্ন ধার দেনা পরিশোধ হয়নি। বর্তমানে ইয়ামিন, তার স্ত্রী ও ৬ মাসের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাহাদুরপুর বাজারস্থ জনৈক আব্দুর রহিম এর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতো।

সে আরও জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় ১৫ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৬টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর বাজারে কাঠ মারার জন্য এসে লোকমুখে সংবাদ পাই যে, তার মামাতো ভাই মোঃ ইয়ামিন ইসলাম ও ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ তনু বেগম গালায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সে দ্রুত উক্ত স্থানে গিয়ে দেখতে পায়  বসত ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে শাড়ি সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল অনুমান সাড়ে ৫টার সময় ইয়ামিনের ভাড়া বাসার পাশ দিয়ে জনৈক আসাদ মাষ্টার যাবার সময় বাচ্চার কান্না শুনে সে এসে প্রথমে দরজা খুলতে গিয়ে দেখে দরজা ভিতর হতে বন্ধ করে দেয়। সে আশে পাশের লোকজন ডেকে দরজা খুলে দেখে ইয়ামিন ও তার স্ত্রী তনু বেগম তাদের শয়ন কক্ষে বাশের আড়ার সাথে শাড়ী দ্বারা গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে মৃতের ঝুলান্ত দেহটি খাটের উপর দেখে অনেকে আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ বিষয়ে বেশ কানাঘোষা চলছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, খবর পেয়ে ঝুলান্ত অবস্থায় দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দম্পতি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুরাতহাল রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ