মতিউর রহমান রিয়াদঃ মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলার হাট নাওপাড়া বাজার সংলগ্ন রাস্তার উপরে দিনে দুপুরে ভাওতা (প্রতারণা) দিয়ে চায়না বেগম নামের এক গৃহবধুর সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়েছে তিন প্রতারক।
১০ই ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ মালির অংক বাজার থেকে হাট নওপাড়া বাজারের কাছে বেজগাও ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ অপু এর আম্মা চায়না বেগম অটোরিকশা থেকে নামলে তিন দুর্বৃত্ত গতিরোধ করে তার কাছে সাহায্য চান তারা নিজেদের বেকারি কর্মী বলে দাবি করে সঙ্গে থাকা একটা ব্যাগ দেখিয়ে সেটাকে বেকারির মূল্যবান কেমিক্যাল দাবি করে পাশে থাকা এক বেকারিতে বিক্রয়ের সময় সাক্ষী হিসেবে থাকতে বলেন, এরপরে তিনি আর কিছু বলতে পারেন না। তাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তার সঙ্গে থাকা দুই হাতের স্বর্ণের হাতের রুলি, গলার চেইন, হাতের আঙুলে থাকা আংটি, দুইটি মোবাইল ফোন, নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এ বিষয়ে চায়না বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান সকালে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সমিতির কিস্তি দিয়ে বারইগাঁও বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য মালির অংক বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে রওনা দিয়ে হাট নাওপাড়া
বাজারে পৌছে রিকশা থেকে নামলে তিন ব্যক্তির আমাকে ঘিরে ধরে সাহায্যের আবেদন করে। তারা তিনজন নিজেদের ঢাকার সাভারের এক বেকারির কর্মী বলে দাবি করে সেই বেকারির মালিক নাকি তাদেরকে দীর্ঘদিনের বেতন না দেয়ায় তারা বেকারি থেকে মূল্যবান কেমিক্যাল নিয়ে আসছে সেই কেমিক্যাল বাজারে থাকা এক বেকারি তে বিক্রয়ের সময় আমাকে সাক্ষী হিসেবে থাকতে বললে আমি তা নাকচ করি। এর পরে আমার আর কিছু মনে নেই আমি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাই যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে থাকা প্যাকেটটি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে, খুব মূল্যবান জিনিস যত্ন করে রাখবেন বলে উধাও হয়ে যায়, পরবর্তীতে আমার সেন্স আসলে আমি আমার গায়ে থাকা স্বর্ণের অলংকার, মোবাইল, সঙ্গে থাকা টাকা, কিছুই খুঁজে পাই না পাশে থাকা এক দোকানে গিয়ে প্যাকেটটি দেখালে প্যাকেট খুলে লবণের অস্তিত্ব খুজে পাই। কিভাবে কি করলাম আমি কিছুই বলতে পারি না।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন। এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি । থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।