বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যা
কলমেঃ রেবেকা টপি
শেষ বিকেল, সন্ধ্যা এসেছে ঘনিয়ে,
চারদিক কালো মেঘে ছেয়ে।
তুমুল বাতাস, অঝোরে বৃষ্টি
শুধু তুমি হীন আমি বড্ড একা।
মনে পড়ে বীণা?
একদিন আষাঢ়ে সন্ধ্যায় তোমার এলোচুল ভিজেছিল বৃষ্টিতে,
আমি তোমার চুল থেকে ফোটায় ফোটায় পড়া বৃষ্টি ধরেছিলাম।
কখনো হাত বাড়িয়ে খানিকটা বৃষ্টি
তোমার মুখে ছুঁড়েছিলাম।
তোমার লাজুক চোখ, তোমার প্রেমের বৃষ্টি,
বাইরের বৃষ্টির সাথে মিলে হয়েছিল একাকার।
আমার হৃদয় মন সব ভিজেছিল,
যেনো অবিরাম বর্ষণে।
সেই বৃষ্টি যেন আমাকে শেষ ভিজিয়েছিল,
এরপর আর কখনো বৃষ্টি মাখা হয়নি আমার।
আজ সময়ের ব্যবধানে
তুমি নিজের আসন গড়েছো পাহাড়ের দেশে,
এখন তুমি পাহাড়ি ঝর্ণার স্পর্শ নাও।
আজ যখন বাইরে বেসামাল বৃষ্টি,
দৃষ্টির সীমানায় তুমি নাই,
জানালার পাশে বসে তোমায় খুব মনে পড়ছে।
জানালার ঐ বোবা কাঁচটার ওপাশে কত বৃষ্টি,
আমি হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি।
কিন্তু আজ আমার হাতটা আজ অবস হয়ে আছে,
বৃষ্টি মাখতে মন আর চায় না।
বীণা, আজ বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে তোমার সেই বৃষ্টি ভেজা মুখ দেখেছি।
আচ্ছা, তুমি কি আজও ওভাবে
বৃষ্টিকে আলিঙ্গন করো?
আমাকে মনে করো?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।
আমার বুকের মাঝে তুমুল ঝড়ের মাতন,
বৃষ্টির অঝোর ধারা, তুমি কখনও উপলব্ধি করো?
আস্তে আস্তে রাতের আঁধার নেমেছে ধরায়,
বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যা হয়েছে নিস্তব্ধ।
ঠিক তুমিও আমার জীবন থেকে
আঁধারে মিলিয়ে গেলে, আমার ভেতরের উচ্ছ্বলতাকে শান্ত করে দিয়ে।