নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করছেন কে এই সূফী বা কাওয়ালি গানের আশিক? কারো কাছে সূফী আশিক আবার কারো কাছে আশিক কাওয়াল নামেই পরিচিতি ফেসবুক ও ইউটিউবে ঢুকলেই দেখা যায় তার স্টেজ প্রোগ্রামের গানের ভিডিও। সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা চষে বেরাচ্ছেন তিনি। ইউটিউবে রয়েছে সূফী সিঙ্গার আশিক কাওয়াল নামে ইউটিউব চ্যানেলও। রয়েছে নিজস্ব ব্যান্ড।
জানাযায়, নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ উপজেলার আদমজীনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ কাওয়াল এর ছেলে আশিক কাওয়াল। পূর্ব পুরুষ- ১) আব্দুর আজীম কাওয়াল, এর ছেলে ২) আব্দুর মজিদ কাওয়াল এর ছেলে ৩) আব্দুর রশিদ কাওয়াল, তথা ৪র্থ পুরুষ ৪) আশিক কাওয়াল। পুর্ব পুরুষদের থেকে শুরু হওয়া কাওয়ালি গানের সিলসিলা শুরু হয় ৬ বছর বয়স থেকে তার। ছোট বয়স থেকেই বাবা আব্দুর রশিদ কাওয়ালের কাছ থেকেই তার গান বাজনা শেখার হাতে খড়ি হয়। ধীরে ধীরে বাবার সাথে স্টেজ প্রোগ্রামে যেতে যেতেই শুরু হয়ে যায় তার গানের নতুন জীবন।
এ সূফী গানের শিল্পী আশিক কাওয়াল এর সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক বাংলাদেশের খবর’কে বলেন, আমার পুর্বপুরুষদের থেকে শুরু কাওয়ালি গানের সিলসিলা। আমার রক্ততে মিশে আছে শুধু গান আর গান। এক কথায় বলা যায় গানই আমার জীবন। আমি ছোট কাল থেকর আমার আব্বুর সাথে থাকতে থাকতে গান বাজনা শিখি। আমার বয়স যখন ছয় বছর ছিল তখন থেকে গান বাজনায় আমি জড়িত হই। ছোট থেকে অনেক কষ্ট করে এত দূর পর্যন্ত এসেছি।
কাওয়ালি(সূফী) গানের ভক্তদের প্রতি অনুরোধ রেখে এ শিল্পী আরো বলেন, আপনাদের সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আপনারা সবাই আমার গান শুনবেন, উৎসাহ্ দিবেন। আমি শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বে এই সূফী গান যাতে ছড়িয়ে দিতে পারি।
উল্লেখ্য- কাওয়ালি (উর্দু:قوّالی; হিন্দি: क़व्वाली; পাঞ্জাবি: ਕ਼ੱਵਾਲੀ; পশতু: قاووالی) দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপত্তি হওয়া সূফি ইসলামী ভক্তিমূলক সঙ্গীতের একটি ধরণ। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার সূফি মাজার বা দরগাহে পরিবেশিত হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাওয়ালি জাতীয় গান থেকেই কালক্রমে খেয়াল নামক উচ্চাঙ্গ সংগীতের শ্রেণীটির উৎপত্তি হয়েছে। কাওয়ালি গান পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে বিখ্যাত এবং ২০ শতকের শেষ ভাগে এটি মূলধারার জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের কাছেও পরিচিতি লাভ করে।