বিশেষ প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার পৌর শহরের কলাতলি এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামিকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর)লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৫ কে অবগত হয় যে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলাধীন মাতারবাড়ি এলাকার ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রী গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, নিখোঁজ ছাত্রী উল্লিখিত তারিখ সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় গেলেও অন্যান্য দিনের মত বিকেলে আর বাড়ি ফিরেনি। মাদ্রাসা, নিকট আত্মীয়-স্বজন এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বড় বোন র্যাব-১৫ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। একপর্যায়ে অপহরণকারীর অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হলে রোববার ১৭ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১২টার সময় কক্সবাজার সদর থানাধীন কলাতলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম’কে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মোঃ সোহেল (২২), পিতা-মোঃ সৈয়দ নুর, সাং-উত্তর পালংপাড়া (পান বাজার), থানা-আলীকদম, জেলা-বান্দরবান’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ভাষ্যমতে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সোহেল ঘটনার দিন মহেশখালী থানাধীন মাতারবাড়ী এলাকা হতে তাকে নিয়ে যায় এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে কাউকে বললে বা চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীও বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।
গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ সোহেলকে একমাত্র আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এস এম মারুফ
