অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা কারাগারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

নিউজ ডেক্সঃ কক্সবাজারের টেকনাফ শাখায় একাধিক গ্রাহকের ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি আটক তিন কর্মকর্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলেন, ইসলামি ব্যাংক টেকনাফ শাখার অফিসার ঈমান হোসেন, সে টেকনাফের হৃীলার দমদমিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে, আজিজ আহমেদ জাবেদ চট্টগ্রামের পটিয়া জঙ্গলখাইন ইউপির উজিরপুর এলাকার মীর আহমদ এর ছেলে ও মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম চট্টগ্রামের পটিয়া জাবিলাছদ্বীপ ইউপির চরকানাই এলাকার শেখ মো. আমিনুল হকের ছেলে।

ইসলামি ব্যাংক টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ অলতাফ হোসেন বাদী হয়ে ব্যাংকের বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযুক্ত ওই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগের পর  টেকনাফ থানা পুলিশ অভিযুক্ত ওই ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ আদালতে প্রেরণ করলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।

ইসলামি ব্যাংক টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ অলতাফ হোসেন ও টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর ও ১২ নভেম্বর ইসলামি ব্যাংক টেকনাফ শাখায় দু’জন গ্রাহক তাদের হিসাবের স্থিতিতে গরমিল পাওয়ায় ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ অলতাফ হোসেন এর কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি উক্ত মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নিজ উদ্যোগে যাচাই-বাছাই করে হিসাবের স্থিতির গরমিলের সত্যতা পান।

এসময় ব্যবস্থাপক যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখতে পান যে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা ঈমান হোসেন ও আজিজ আহমেদ জাবেদ তাদের ব্যাংক প্রদত্ত আইডি ব্যবহার করে পরস্পরে গ্রাহকের চেকবই জালিয়াতির মাধ্যমে ইস্যু করে এবং উক্ত চেকসমূহ ব্যবহার করে নগদ ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকদের হিসাব থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়টি ব্যবস্থাপক নিশ্চিত হওয়ার পর আঞ্চলিক প্রধানকে অবহিত করে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। উক্ত তদন্তে এ পর্যন্ত ব্যবস্থাপক সর্বমোট ৫৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব হতে অননুমোদিত উত্তোলনের প্রমাণ পান।

এরই ভিত্তিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা অভিযুক্ত ঈমান হোসেনকে ব্যবস্থাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। একই সাথে অভিযুক্ত ঈমান হোসেন তার লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী সে নিজে ৩০ লক্ষ টাকা, আজিজ আহমেদ জাবেদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ৫ লক্ষ টাকা পারস্পারিক যোগসাজশে মাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। তবে আজিজ আহমেদ জাবেদ ও মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজার বরাবর ব্যাংক ব্যবস্থাপক কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারটি ফরোয়াডিং সহ প্রেরণ করা হয়েছে।

গত বুধবার টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করলেও বিষয়টি প্রকাশ পায় শুক্রবার রাতে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ