বোয়ালমারী (ফরিদপুর)থেকে এমএম জামানঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে ইনডেক্সধারী কারিগরি শিক্ষকের মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. জাফর মোল্যা। তিনি উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে শরীর চর্চার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী মো. সজীব মিয়া, শহীদ ও আবজাল উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলপূর্বক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জাফর মোল্যা এনটিআরসিএ-র চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ভিত্তিতে শরীর চর্চা শিক্ষক পদে ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে সম্প্রতি যোগদান করেন। এমপিওভূক্তির জন্য তিনি কাগজপত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন। এর আগে উক্ত শিক্ষক মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সিদ্দিক আকবর দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। তার ইনডেক্স নম্বর ছিল M০০৩৪৮৩১। আগের ইনডেক্স বাতিল না করেই তিনি নতুন ইনডেক্সের জন্য আবেদন করেছেন।
অভিযোগ উক্ত শিক্ষকের নিবন্ধন সনদে উল্লেখ আছে তিনি কারিগরি ও ভোকেশনাল শাখায় নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। তিনি মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান অরুন বিষয়টি জেনেও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ওই ইনডেক্সধারী শিক্ষককে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দ্বারা নিয়োগ দিয়ে এমপিওভূক্তির জন্য চেষ্টা করছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পেলেও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর বিধি মোতাবেক এবার ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা আবেদনের অযোগ্য ছিল। কিন্তু জাফর মোল্যা নামের ওই শিক্ষক বিধি ভঙ্গ করে তথ্য গোপন করে আবেদন করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার নিজ গ্রাম ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে নিয়োগ পান। তথ্য গোপন করে এভাবে নিয়োগ পাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সার্কুলারের ১৪ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোন প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভূক্ত) হওয়া সত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এনটিআরসিএ তদন্ত করেই নিয়োগ দিয়েছে। তারপরও যখন অভিযোগ উঠেছে, আমরা তদন্ত করে দেখবো।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে বলা হয়েছে, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন।