ফ্যাসিবাদী সাঙ্গ-পাঙ্গরা এখনো বিদায় নেয়নি: রুহুল কবির রিজভী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এম রাসেল সরকার : ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের দোসর অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা এখনও বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাশকতা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,এদের (আওয়ামী লীগের) সাঙ্গ-পাঙ্গরা সুবিধাবাদীরা এখনো বিদায় নেয়নি, প্রশাসনের অনেক জায়গায় তারা আছে। অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার জন্য কাজ করেছে তারা এখনো আছে তারা বিভিন্নভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন গুলো হয়েছে আপনারা সংসদ বিলুপ্ত করেছেন উপজেলা বিলুপ্ত করেছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছে কেন? এরাই তো আওয়ামী লীগের সাঙ্গ ,পাঙ্গ এদের দিয়েই গণতন্ত্রের আন্দোলনকারীদেরকে হত্যা করেছে। এরা কেউ নির্বাচিত নয়, শেখ হাসিনা সিলেকশন করে তাদের নাম দিয়েছে। তাহলে সেই ইউপি চেয়ারম্যানরা আজও টিকে আছে কি করে? এরাতো শেখ হাসিনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

শুক্রবার৷(২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিবসহ প্রবাসীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার টাকা পাচারের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশের টাকা তো শেখ হাসিনার না। কিন্তু তিনি অবাধে লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন। শেখ হাসিনার আমলে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এমপি মন্ত্রী এবং তার ব্যবসায়ীরা এর সাথে জড়িত। শেখ হাসিনা যত দুর্নীতি করেছে গুম খুনের জননী তার বিচার দৃষ্টান্তমূলক হতে হবে। যাতে কোন রাজনৈতিক দল জনগণের উপর অত্যাচার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুধু ঢাকায় যে মারা গেছে তা নয় গ্রামগঞ্জে মারা গেছে তাদের মারার পিছনে এই ইউপি চেয়ারম্যানরা জড়িত। পুলিশের ছত্রছায়ায় আমাদের নেতাকর্মীদেরকে তারা গুলি করেছে। তারা কি করে এখনো থাকে? তৃণমূলে যারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে চায় অবিলম্বে তাদেরকে বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি।

রিজভী বলেন,’শেখ হাসিনা এস আলমকে দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করিয়েছেন কারণ তিনি জানতেন যদি কখনো পালিয়ে যাই তাহলে সে টাকা তখন নিবে। এস আলমের কাজের মেয়ের একাউন্টে ১ কোটি টাকা এবং কাজের মেয়ের স্বামীকে একটি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার করা হয়েছে। এই যে উদ্দেশ্য বেপরোয়া। কাজের মেয়ের স্বামীকে প্রিন্সিপাল অফিসার করেছে।প্রিন্সিপাল অফিসার হতে কতটুকু লেখাপড়া জানতে হয় ইউনিভার্সির সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র হতে হয় শেখ হাসিনার এটা কিছু যায় আসে না। শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে যায় তাহলে তাকে পালবে কে এই কারণে একের পর এক মিডিয়া এবং ব্যাংক এস আলমকে দিয়ে দিয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আহমদ আলী মুকিব,সৌদি পশ্চিমাঞ্চল বিএন পির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মান্নান, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু প্রমুখ।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ