বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থল বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে (ভ্যাহিক্যাল টার্মিনাল) সীমাহিন দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে বিবৃতি চাওয়ায় স্থলবন্দর চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও তার দোশর বেনাপোল স্থল বন্দরের সাবেক পরিচালক রেজাউল করিমের নীল নকশায় দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি সুমন হোসাইনের নামে পাল্টা মামলা দিয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সাংবাদিক।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদা শারমিন বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হইয়া সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান ও হুমকী দেওয়ার অভিযোগ এনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। বেনাপোল পোর্টথানার মামলা নং- ৫/২৮১ ও তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর, ধারা-১৪৩/১৮৬/৫০৬। সুমন হোসাইন বেনাপোল পোর্টথানাধীন বেনাপোল গ্রামের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্টথানা আমলী আদালতে প্রাননাশের হুমকি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে মামলা দাখিল করেন বাদী সুমন হোসাইন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি কে নির্দেশ দেন।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক সুমন হোসাইন জানান, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ও যমুনা টেলিভিশনের বেনাপোল প্রতিনিধি কামাল হোসেন তাকে বেনাপোল স্থবন্দরের ভেইকল টার্মিনালের চলমান কাজের দূর্নীতির ভিডিও চিত্র ধারনকৃত সংবাদ দেন ও পত্রিকায় নিউজ করতে বলেন। সেই মোতাবেক সে ঘটনাস্থলে গিয়ে চলমান কাজের অনিয়মের চিত্র ধারন করে নিউজ সংক্রান্তে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যনের বক্তব্য জানতে চান। এতে করে তাদের অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে চেয়ারম্যান ও রেজাউল করিম তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে। তিনি নিজ নিরাপত্তাজনীত কারনে আদালতের শরানাপন্ন হন ও হুমকীদাতাদের নামে মামলা করেন। এ ঘটনায় আক্রোশবসত মামলার ১ দিন পরেই আমার নামে বন্দর কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ তুলে পাল্টা মামলা করেছে। এমনকি আসামীরা সাংবাদিকদের প্রভাবিত করে মানহানীকর বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। এহেন ঘৃনীত কান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতনদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী সাংবাদিক।