একটি মানবিক আবেদন হাসিনা বেগম বাঁচতে চান 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১ মে, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেচে থাকার আরেক নাম জীবন সংগ্রাম। বেচে থাকার তাগিদে আমরা সংগ্রামী হই। এই সংগ্রামে কেউ জয়ী হয় আবার কেউ’বা হেরে যায় বাস্তবতার কাছে। বাস্তবতার কাছে হেরে যেতে বসা এমনি এক নারীর সম্পর্কে আমরা জানাব। যার সংগ্রামী জীবন প্রতিটা হৃদয়কে ব্যথীত করে। 
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা খালপারে হাসিনা বেগমের বসবাস। চার কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিয়ে স্বামীকে নিয়ে তার সংসার। প্রায় বছর দশেক হলো স্বামী এ্যজমা রোগে আক্রান্ত। আস্তে আস্তে কর্মক্ষম হয়ে পড়ে তিনি। হত দরিদ্র পরিবারে হাল ধরার কেউ না থাকায়, সংসারে হাল ধরেন হাসিনা বেগম। গোয়ালিমান্দ্রা মসজিদের পাশে খোলা আকাশের নিচে তার পিঠার দোকান। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পিঠা বিক্রি করে চলে তার সংসার।
রমজান মাসে একদিন রাতের আধারে আগুনের একটি ছোট ফুলকি পড়ে তার পায়ে। ধীরে ধীরে পায়ে ব্যথ্যা হতে শুরু করে। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে বিভিন্ন ব্যথ্যানাশক ঔষধ খেয়ে প্রথমে তিনি ব্যথ্যা দমিয়ে রাখেন। হতদরিদ্র অভাগী হাসিনা বেগমের জীবনে এই ফুলকিই যেন কাল হয়ে দাড়ায়। ছোট এই ফুলকি যে তার দাঁড়ানোর ক্ষমতা কেঁড়ে নিবে ধীরে ধীরে তা ছিলো হাসিনা বেগমের ধারণার বাহিরে।
এ বিষয়ে হাসিনা বেগম জানান। অতিরিক্ত ব্লাড সুগার থাকার কারণে ফোসকাটা পায়ের ভিতরে ঘা তৈরি করে। এরপরে আস্তে আস্তে পায়ের পাতার  ভিতরের অংশে পচতে থাকে। পবিএ ঈদুল ফিতর তার জন্য হয়ে ওঠে নিষ্প্রান।
১৩ই এপ্রিল ২০২৪ ইং শনিবার সকাল ১১টায় তার পায়ের অপারেশন হয়। ঔষধপএ এবং যাতায়াত সহ সেখানে খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড হাসপাতাল) অপারেশনের পরেও সম্ভব হলো না হাসিনা বেগমের পায়ে দাড়ানো। এরপর ২৫শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার বারডেম হাসপাতালে তার পা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। ৪ দিন হাসপাতালে থাকার, ডাক্তার খরচ, পরিক্ষার বিল আসে ৪২হাজার ৭৫০টাকা। এছাড়াও ঔষধের বিল এবং অন্যন্য খরচ হয় আনুমানিক ৪০হাজার টাকা।
উচ্চ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ এবং স্বর্ণ বিক্রি করে তার অপারেশন সম্ভব হলেও ঔষধের খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার টাকার অধিক খরচ হয় তার ঔষধের  জন্য। এছাড়াও স্বামীর ঔষধের জন্যে খরচ হয় ৪০০-৫০০টাকা প্রতিদিন।
হাসিনা বেগমের মেজু মেয়ে রশনারা আক্তার জানান। ডাক্তার বলেছেন, ঔষধ চলমান রাখতে হবে এবং ৩ মাস পরে নকল পা লাগানো যাবে। এই ৩ মাস তার ঔষধ ও ডাক্তারের খরচ প্রায় লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আপনারা সবাই সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসলে আমার মা আবার সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।
জীবন সংগ্রামী এই মহীয়সী নারী আবারও ধরতে পারবে সংসারের হাল। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং তথা দেশ বিদেশের সকলের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছে পরিবারটি । আপনাদের সাহায্য কামনা করছি। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা। ভুক্ত ভগিনীর মেয়ে   রশনারা আক্তার
বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার -: ০১৮৬৪৯৪১১৬২
যার যা সামর্থ্য আছে তা দিয়েই সাহায্য করুন। আপনার একটুখানি সাহায্যেই হতে পারে এই পরিবারের হাসির খোরাক।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ