নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ২০২৪ সালের প্রথম মাসেই ১৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করল লৌহজং উপজেলা প্রশাসন। এতে করে জরিমানা আদায় হয়েছে ৩,৭৭,২০০ টাকা এবং কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে দুইজনকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এসব ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন যোগদানের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে লৌহজংয়ের চিত্র।
দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের কাছে তিনি যেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। যেখানে দুর্নীতি, যেখানেই অপরাধ, কাল বিলম্ব করছেন না ছুটে যাচ্ছেন সেখানেই। করছেন জেল জরিমান অর্থদণ্ড এবং সতর্ক, কেউ কেউ আবার মুচলেকা দিয়ে শুধরে নিচ্ছেন নিজেকে। তার এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
উপজেলা বাসীর সাথে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন। ইউএনও স্যারের জন্য লৌহজংয়ে অবৈধ মাটি বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে, এতে করে রক্ষা পাচ্ছে কৃষি জমি। অবৈধ দখলদার দের থেকে খালের মুখ অবমুক্ত করে চাষের জমি থেকে সময় মত পানি নামতে পারায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একের পর এক মাদক সেবী এবং মাদক সেবনের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়ে সবাই।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন। আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। যেখানে দুর্নীতি এবং অপরাধ, তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। অবৈধ মাটির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। মাদক সেবীদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে দেশের প্রচলিত আইনে সাজা দেওয়া হচ্ছে। লৌহজং উপজেলাকে দুর্নীতি ও অপরাধ মুক্তোর প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি।
ইউএনও মো. জাকির হোসেন, উপজেলা বাসীর কাছে দোয়া চেয়ে, সব ধরনের অসঙ্গতির তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ১৯ টি করা মামলায় ৩,৭৭,২০০ টাকা জরিমানায় ছিল। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন , বালু মহল ও মাটি ব্যাবস্তাপনা আইন ও ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে পার্সোনাল চেম্বারে রোগী দেখা ডাক্তার। এছাড়া দুজনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।