বিশেষ প্রতিনিধিঃ হরিনাকুন্ডের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সাইদকে ১টি বিদেশী রিভলবার ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ৬ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
আটককৃত আসামী- মোঃ আবু সাইদ (৩৬) সে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন পারদখলপুর গ্রামের মোঃ ছানোয়ার হোসেন ছনু’র ছেলে।
চলতি বছরের গত ২৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার সাবেক সেনা সদস্য এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ এর সহ-সভাপতি ভিকটিম শামীম হোসেন (৪৮)কে রাতে কিছু দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। নিহত শামীম হোসেন বিগত ২০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসরে আসেন এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায় নিহত ভিকটিম শামীম হোসেন রাত অনুমান ৮টার দিকে রাতের খাবার শেষ করে বাড়ী হতে বের হন। এর কিছু সময় পরে হরিণাকুন্ডু থানার পার্বতীপুর গ্রামের জনৈক জব্বার মন্ডলের মেহগনি বাগানের উত্তর পাশে খালপাড়ে বাশেঁর সাকোর নিচে ভিকটিম শামীম হোসেন এর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরবর্তীতে বিষয়টি বিভিন্ন প্রেস মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামস্থ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অস্ত্রগুলিসহ অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি রাত ১.৩০ মিনিটের সময় ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামস্থ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ অস্ত্রধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সাইদ গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবু সাইদ তার নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত সন্ত্রাসী আবু সাইদ হরিণাকুন্ডুর সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করতঃ গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়।