বিশেষ প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলা টেকনাফ থানাধীন পশ্চিম গোদারবিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১,৮৬,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিস্তারিত পরিচয় ১। মাহমুদুর রহমান (২৫), পিতা-মোহাম্মদ নূর এবং ২। মোছাঃ তাহানিয়া সোলতানা রিনা প্রকাশ তানিয়া (১৯), পিতা-মোস্তাক আহমদ, উভয় সাং-পশ্চিম গোদারবিল, ইউনিয়ন সদর, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
কক্সবাজার একটি ইয়াবা পাচার প্রবণ এলাকা। র্যাব-১৫, কক্সবাজার’সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য তথা ইয়াবা প্রতিনিয়তই জব্দ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা পাচারের সাথে মাদক কারবারীরা স্থল ও নৌ-পথে মাদক পাচারের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন, ফিশিং বোট এবং ট্রলার ব্যবহার করছে। র্যাব এই মাদক কারবারীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের সময় র্যাব জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়ন পশ্চিম গোদারবিল এলাকার অন্তর্গত মোঃ মোস্তাক আহমদ এর বসত ঘরের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদক দ্রব্যসহ অবস্থান করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারীরা পালানোর চেষ্টাকালে মাহমুদুর রহমান এবং তানিয়া নামে দুইজন মাদক কারবারীকে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তিরা তাদের সাথে থাকা অপর একজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত বসতঘরে ভিতর বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তিদের বসতঘর তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ১,৮৬,০০০ (এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় এবং পলাতক আসামী দীর্ঘদিন যাবত যোগসাজসে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এবং মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত আসামীদ্বয় ও পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।