বিশেষ প্রতিনিধিঃ মাদ্রাসাছাত্রকে আছাড় দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদ্রাসার নুরানি শিক্ষক মাহাদী হাসান এর বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহাদী হাসান পলাতক রয়েছেন।
শিক্ষার্থীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদ্রাসার নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহাদী হাসান। এ সময় ফায়েজকে শ্রেণিকক্ষে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। শিক্ষকের কথামতো না দাঁড়িয়ে শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। একপর্যায়ে রাগান্বিত শিক্ষক মাহাদী হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিশুকে গলা ধরে তুলে আছাড় মারেন। এতে ফাইজ গুরুতর আঘাত পায়। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
ঘটনার পর দিন ফাইজ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। শিক্ষকের আঘাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না কোমলমতি শিশুটি। বুধবার রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুটির মা শ্যামলী আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে আলেম বানানোর জন্য আমি মাদ্রাসায় পড়তে দিয়েছি। কিন্তু মাদ্রাসার এই মাইরমুখি হুজুর আমার ছেলেকে ভালো শিক্ষা না দিয়ে আছাড় মেরে মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান জানান, বিষয়টি এরই মধ্যে জেলা পুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।