এম রাসেল সরকার: রাজধানী যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়ক এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইউনুস সুপার মার্কেটের ৫ম তলায় পুরো ফ্লোর ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের আড়ালে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী, গামেন্টস কর্মীদের নিয়ে ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকুরীর কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা রাজধানী যাত্রাবাড়ীতে এনে অত্র এলাকার বহুল আলোচিত নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।
অত্র হোটেলের মালিক জামাল বিল্লাল ও ম্যানেজার সাইদুলের কাছে বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুঁসলিয়ে উঠতি বয়সে মেয়েদের এনে দালালরা মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে এই সব অসহায় গরীব মেয়েদের দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়ক ইউনুস সুপার মার্কেট ৫ম তলায় নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেল নামের একটি পুরো ফ্লোর ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলে অন্তর্রালে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসা করে আসছে জামাল সাইদুর জামান বিল্লাল গং।
এই পপুলার প্যালেস হোটেলের দেহ ব্যবসা পরিচালনা করেন উক্ত হোটেল ম্যানেজার সাইদুর, এই নিউ পপুলার প্যালেস হোটেলটি এই ধরনের অনৈতিক দেহ ব্যবসা করার কারনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার সাধারণ জনগন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরছে।
কামাল মিয়া নামে গোপালবাগ এলাকার অস্থায়ী বসবাসকারী একজন যুবক সাংবাদিকদের দেখে সামনে এগিয়ে এসে বলে আমি অনৈতিক কর্মকান্ডে জন্য আমার বন্ধুর সাথে পপুলার প্যালেস হোটেলে কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম, তখন আমার পকেটে নগত ৭০০০ টাকা ও অপপো ব্রান্ডের ২৫০০০ টাকার মুল্যর মোবাইল সাথে ছিলো। আমি বন্ধু সাথে পপুলার প্যালেসে হোটেলে কাউন্টারে যাওয়ার সাথে আমার মোবাইলটা মাসুদ নামে একজন ছিনিয়ে নেয়, মানিব্যাপ কেড়ে নেয় আমাকে বলে আমি পুলিশের সোর্স তুই মোবাইলে ভিডিও করার জন্য হোটেলে ঢুকছোস, আমার দামী মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে আমি ও আমার বন্ধুকে চড় থাপ্পড় দিয়ে বের করে কেঁচিগেটে তালা দিয়ে দেয়, আমি অনেক অনুরোধ করলাম আমার মোবাইল টা দিয়ে দেও, তখন তারা হোটেলের ভিতর থেকে বলে, গেলি নাকি মাইর খাবি!” আমিও লজ্জায় পরে কাউকে কিছু বলতেও পারি নাই , তারা অনেক খরিদদারকে মারধর করে দামী মোবাইল মানিব্যাগ টাকা নিয়ে নেয়।গোপনে অনৈতিক ভিডিও ধারন করে মোটা অংকের টাকাও দাবী করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি জম্মসুত্রে দক্ষিণ শহীদ ফারুক সড়ক এলাকায় স্থায়ী ৪৫ বছর ধরে বসবাস করছি আমার বাবা মীরহাজিবাগ স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন, আমি ইউনুস সুপার মার্কেট নিচ তলায় মুদি দোকানে বাজার করি প্রায়ই ইউনুস সুপার মার্কেট মুদি বাজারে জন্য সদাই-পাতি নিয়ে যাওয়া আসার পথে বোরকা পরুয়া মেয়ে মহিলাদেরসহ পুরুষের যাওয়া আসা দেখি, সেই সময় আমি দোকানদের জিজ্ঞাসা করি এই মার্কেটে কি কোন কোচিং সেন্টার আছে নাকি? উত্তরে দোকানদার আমাকে বলে, আংকেল যা দেখছেন কাউকে কিছু বইলেন নাহ আমার সমস্যা হইবো, তখন আমি আগ্রহ নিয়ে দোকানদারকে অনুরোধ করি ও বলি,বাবা আমি কাউকে কিছু বলবো নাহ তোমাকেও কেউ কিছু বললে আমি তোমার পাশে থাকবো,ব্যাপারটা কি আমাকে বলো, তখন দোকানদার বলে এই ইউনুস সুপার মার্কেট ৫ তলায় মেয়ে দের শারীরিক শরীরচর্চা দেওয়া হয়, আমি রেগে বললাম ঠিক করে বলো ঘটনা কি?দোকানদার ডানে বামে তাকিয়ে দেখে আমাকে বলে এই বিল্ডিং ৫ তলায় মেয়েদের দিয়ে ব্যবসা হয়!
অনুসন্ধানী কাজে ইউনুস সুপার মার্কেট ০৫ তলায় ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করা উদ্দেশ্য যাওয়ায় ও মোবাইল ক্যামেরা ছবি তোলায় সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া করে নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেলে কর্মচারীরা ও সাংবাদিকের মোবাইল জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে স্টিল ছবি ডিলিট করে অশ্লালীন ভাষায় গালাগালি করে বলে যদি আজকের পর কোন দিন হোটেলের ত্রিসীমানা দেখি তাহলে তোর হাত পা ভেঙে দিবো।
এই সব আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার কারনে দেশের তরুণ যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেলে এর মালিক জামান, বিল্লাল, ম্যানেজার সাইদুলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।