এম রাসেল সরকার: প্রথমে নারীকে দিয়ে ফাঁদ পাতা হতো, তারপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো বাসায়। মোটা অঙ্কের টাকার জন্য সেখানেই আটক রেখে চালানো হতো নির্যাতন। মুক্তিপণের টাকা না পেলে বাড়তো নির্যাতনের মাত্রা।
সম্প্রতি প্রলোভন দেখিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে অপহরণের পর অভিযোগ জানায় স্বজনরা। পরে নারীসহ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ছত্রিশ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগীকে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিলকিস নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষক তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যান বনশ্রী এলাকায়। তার সাথে দেখা না হলে এক পর্যায়ে ফোন দেন বিলকিসকে। তারপরই নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষককে খিলগাঁওয়ের একটি বাসায় নিয়ে যায় বিলকিস। সেখানেই আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন চালায় গ্রেফতারকৃতরা।
আটকে রাখার বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে বিলকিসচক্র। পরে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে তারা।
এদিকে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানায় পুলিশের এন্টি টেরিজম ইউনিটকে। পরে খিলগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ওই শিক্ষককে। এ সময় চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা ও নির্যাতনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, এঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিলকিস নামের ওই নারী আগেও একইভাবে নানাজনকে ফাঁদে ফেলে আদায় করেছে টাকা। তার বিরুদ্ধে গুলশানসহ বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে।