আজিজুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে বিদ্যুৎের টানা লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর প্রান হারিয়েছে। মৃত রাসেল সেতাই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতাই গ্রামের যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান টুটুল ফকির তার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে তারই আমবাগানের ভিতর দিয়ে মাছের ঘেরে টানা লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। সে দীর্ঘদিন ধরে টানা লাইনে বিদ্যুৎ চালালেও বিদ্যুৎ কর্মীরা আজ অবদী কোনো পদক্ষেপ নেন নি। কামরুজ্জামান টুটুল তার আমবাগান একই গ্রামের জালাল শেখের কাছে লিজ দেন। জালাল শেখ গত বৃহস্পতিবার বিকালে গাছের শুকনো ডাল গুলি কেটে এলাকার প্রাইভেট শিক্ষক পিয়ার আলীর ছেলে জুয়েল রানার কাছে বিক্রী করে দেন। গাছের শুকনো ডাল কাটার সময় বিদ্যুৎের টানা লাইনের তার কেটে বাগানের ভেতর পড়ে থাকে।
গত শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় সেতাই গ্রামের নুর মুহাম্মাদের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৪) ফারুক হোসেনের ছেলে ইজতেহাদ আহমেদ (১৪), সাহেব আলীর ছেলে নুরনবী (১৪) ও আনারুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন (১৪) জুয়েল রানার বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে জুয়েল রানা ঐদিন সকাল ১০ টার দিকে তাদের সকলকে টুটুলের আমবাগান থেকে জ্বালানি কাঠ আনতে পাঠায়। তারা বাগান থেকে কাঠগুলো সংগ্রহ করার সময় বিদ্যুৎের কাটা তার রাসেলের পায়ে জড়িয়ে গেলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় কিশোররা ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এবং একঘন্টা পর বাগান থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। অনেক দেন দরবারের পর সন্ধ্যার দিকে হতভাগা রাসেলের লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং সেখান থেকে অবৈধ সংযোগ নেয়া বিদ্যুৎের তার দ্রুত অপসারণ করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাসেলের বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ঘটনাটি যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান টুটুল স্থানীয়দের মাধ্যমে মিমাংসা করে নিয়েছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানিয়েছেন এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।