এম রাসেল সরকার: দেশের তিনটি দৈনিক পত্রিকায় পরিবহন খাত ও মহাখালী বাস টার্মিনালের ‘চাঁদাবাজি নিয়ে’ সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।
সোমবার মহাখালী বাস টার্মিনালে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, সংবাদমাধ্যমে আসা চাঁদাবাজির ওই খবর ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’।
লিখিত বক্তব্যে মহাখালীতে বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, গত ১৪ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘পরিবহনে চাঁদাবাজির হাত বদল’, ১৭ অক্টোবর একই পত্রিকায় ‘মহাখালী টার্মিনালে চাঁদাবাজি’, এবং ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নীরবে সরবে চাঁদাবাজি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
“মহাখালী বাস টার্মিনালে থেকে দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। টার্মিনালের সামনে দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায়ের যে খবর প্রকাশ হয়েছে সেটিও অসত্য। আমরা মহাখালী বাস টার্মিনালের সকল মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
মালিক সমিতির এই নেতার ভাষ্য, মহাখালী বাস টার্মিনালে মালিক শ্রমিকদের ‘নির্ধারিত পরিচালনা ব্যয়ের অতিরিক্ত’ কোনো টাকা ওঠানো হয় না।
আবুল কালাম বলেন, গত ১৪ আগস্টে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সভায় এবং ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকার সব টার্মিনাল থেকে চলাচলকারী যানবাহন থেকে সমিতির নামে চাঁদা ওঠানো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
“তখন থেকেই এ টার্মিনালে মালিক শ্রমিকদের পরিচালনা ব্যয় আদায় বন্ধ করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নির্দেশনা কার্যকর হয়। সেটা এখনও চলমান। তারপরও এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে টার্মিনালের মালিক, শ্রমিকদের জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ মাসুম এবং মালিক ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।