নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় কথিত এক ভূয়া সাংবাদিক জসিম শেখ নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বানিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ধীপুর ইউনিয়নের মটুকপুর গ্ৰামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, শনিবার, অনুসন্ধানে গিয়ে ঘটনা সততা পাওয়া যায়। জানা যায় জসিম শেখ তার নিজের বাড়ির কথা বলে তার ভাইরে শশুর বাড়ী ফসলি জমি কেটে রাস্তার পাশে জমি ভরাট করছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য।
জসিম শেখের দুই ভাইদের সাথে সরজমিনে গিয়ে কথা বললে তারা বলেন , তাদের ভাই (জসিম শেখ) নাকি (ইউএনও) ও (ডিসি) অফিস থেকে জমি কাটা ও ভরাট করার অনুমতি এনেছে।
এছাড়াও গ্ৰামের বিভিন্ন বয়সের লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, জসিম শেখ নিজেকে অনেক বড় সাংবাদিক দাবি করে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে বেড়ায়। তাকে জমি কাটা বা ভরাট বিষয়ে গ্ৰামের লোকজন জিজ্ঞেস করলে বলে, আমি অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করি না।
ঘটনার স্থলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য এক জাতীয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সালমান হৃদয় উপস্থিত হলে এর খবর পৌছে যায় জসিম শেখার কাছে। তাৎক্ষণিক জসিম শেখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এখানে মাটি কাটা ও ভরাট করার যে অনুমতি পেয়েছেন সে কাগজটা দেখতে চাইলে জসিম শেখ বলেন, ভাই এইগুলোর অনুমতি কে দিবে, আপনারা তো সবই বুঝেন, ম্যানেজ করে চলি।
জসিম শেখের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগে দর্জির দোকানদার ছিলাম, বর্তমানে এখন আমি মুরগির ব্যবসা করি। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন, তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি। উপায় না পেয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সভ্যতার আলোর স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দেন। সভ্যতার আলো পত্রিকারা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারা যায় তিনি কোন প্রতিনিধি নন। এছাড়াও তিনি টঙ্গীবাড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (আবু বাক্কর মাঝি) নাম বিক্রি করার চেষ্টা করে। সভ্যতার আলোর পত্রিকায় টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন (আবু বাক্কর মাঝি)। সভ্যতার আলো পত্রিকার টঙ্গিবাড়ী প্রতিনিধি আবু বাক্কার মাঝির সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি এ বিষয় অবগত নন, এবং সভ্যতার আলোতে জসিম শেখ নামে কেউ টঙ্গিবাড়ী থেকে কাজও করেন না স্টাফ রিপোর্টার ও কেউ নেই।
আরো তথ্য পাওয়া যায়, টঙ্গীবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিত্তিহীন কমিটি করে সভাপতি পদ পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তিনি কোন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেব নেই, তবে তিনি অর্থের বিনিময়ে দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার কার্ড এনে নিজেকে বিশাল মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলা দাপিয়ে বেরিয়েছেন। অন্যদেরকে তার পত্রিকায় কার্ড করে সাংবাদিক বানানোর কথা বলে ৭ হাজার টাকা দাবি করে ২হাজার টাকা নিয়ে কার্ড এনে দিতে না পারায় তীব্র চাপের মুখে ২হাজার টাকাও ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি। তার সকল অপকর্ম দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকা অফিস অবগত হলে তার কার্ড বাতিল করা হয় বলেও একাধিক সুত্রে জানাযায়। বর্তমানে তিনি কথিত ভূয়া সাংবাদিক জসিম শেখ হিসেবেই পরিচিত।
মুন্সীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহনাজ বেগম হীরার সাথে কথা হলে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় কোনো কমিটি দেইনি। তারা কিভাবে কমিটি করেছে সেটা জানা নাই।
আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমি বিষয়টি দেখছি।