ফরিদপুরে খাল খননের মাটি বিক্রি, যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

এমএম জামান, ফরিদপুর থেকে: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তিন বছর আগে খননকৃত একটি সরকারি খালের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে মাটি বহন করছেন এক মাটি ব্যবসায়ী। খালের অপর পাড়ে সঞ্চিত খননকৃত মাটি বিভিন্ন জায়গায় এবং ইটভাটায় বিক্রি করছেন ওই মাটি ব্যবসায়ী। মাটি পরিবহনের সুবিধার জন্য খাল ভরাট করে এভাবে রাস্তা তৈরি এবং সরকারি খালের মাটি বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম নামক স্থানে প্রবাহিত বারাসিয়া নদী থেকে উৎপত্তি একটি খালের ভেতর মাটি দিয়ে ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। খালের দক্ষিণ পাড়ের মাটি পরিবহনের জন্য এ রাস্তা করা হয়েছে। এই মাটি বিক্রির যোগসাজসে রয়েছেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক সহকারী প্রকৌশলী। গত তিন দিন ধরে জনৈক জাফরের জমির পাশের খালখননের পাড়ের স্তূপকৃত মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। জাফর খালের ওই মাটি ট্রাকপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। পাশের বর্নিরচর গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস মেম্বার (সাবেক) এসকেভেটর ও মাটি টানার গাড়ি সরবরাহ করছেন। মাটি টানার জন্য প্রতিদিন গাড়ি প্রতি ২৬০০ টাকায় চুক্তি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, মাটি বিক্রি করছেন পাশের গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামের তারা মোল্যা। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি।
মাটি কাটার বিষয়ে তারা মোল্যা বলেন, আমিসহ আমাদের কিছু লোকেদের জায়গায় খাল খননের মাটি আছে। আমাদের এক সচিব আছে, তিনি আমাদের আত্মীয় হন। তাকে বলার পর তিনি ইউএনওকে বলেছেন। ইউএনও একটা লিখিত দরখাস্ত দিতে বললে আমরা লিখিত দরখাস্ত দেই। এরপর তিনি মাটি কাটার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বারাংকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ কামাল আহমেদ বলেন, খাল বন্ধ করে রাস্তা করা অন্যায়। এটি বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। লোক পাঠিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
খালের মাটি কাটার অনুমতি এবং খালের ভেতর রাস্তা করার বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসানের বক্তব্য জানতে রবিবার (০৩.০৩.২৪) দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ