এমএম জামান, (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এম,পি প্রার্থী আবদুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় জেলার বোয়ালমারী উপজেলার স্টেশন রোডস্থ একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজ এখানে উপস্থিত নেই। তার সাথে আমার কথা হয়েছে। সভাপতি হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করার কথা তা সে করছে। আমরা সকলে মিলেই এই দলের নির্বাচনী কাজগুলো করছি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর অনেক প্রার্থীর বাড়িতে গেছি, দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অধিক সংখ্যক হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, দলে সহনশীলতা, অতি মাত্রায় উদারতা এবং অতি মাত্রায় গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চার সুযোগ থাকায় এত বেশি সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নেতৃত্বের বিকাশ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, সংগঠনগতভাবে বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন। বোয়ালমারীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকম শক্তিশালী ছাত্রসংগঠন এবারই প্রথম দেখেছি। যুবলীগের মধ্যে বিভাজন থাকলেও জেলা যুবলীগের প্রতি সকলেরই শ্রদ্ধাবোধ আছে। মৎস্যজীবী লীগও হাঁটি হাঁটি পা পা করে আগাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকলীগ খুব ভালো করছে। এভাবে নেতৃত্বের বিকাশ হবে। রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে হবে। রাজনীতিতে আচার, আচরণ, চালচলন, কথাবার্তা, ব্যবহার, সংস্কৃতির একটা আলাদা মর্যাদা যদি থাকে তবে তার বিকাশ হবে। জেলা যুবলীগ আমার হাতে গঠন করেছি। সারা দেশে ৬০টি জেলা ইউনিট আছে। এর মধ্যে ফরিদপুর জেলা যুবলীগ শ্রেষ্ঠ হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, নেত্রী যদি সবাইকেই নির্বাচনে দাঁড়াতে বলবেন তাহলে কেন দলের মনোনয়ন দিয়েছেন? তিনি যখন দলের সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ডেকেছিলেন তখন তিনি অডিয়্যান্সকে বলেছিলেন ৪৭০০ মনোনয়ন পেয়েছি, আর মনোনয়ন পাবে ৩০০ জন। এই ৩০০ মানুষ আপনারা ঠিক করেন। তখন হাউজ থেকে বলেছে না, আপনার উপর দায়িত্ব দিলাম এটা আপনি ঠিক করে দেন। এরপর নেত্রী বলেছেন, আমি যদি ঠিক করে দেই আপনারা মানবেন? দুই হাত তুলে তখন সবাই বলেছে আমরা মানবো। তাহলে যারা দলের মনোনয়ন পেয়েছে তাদের সবাই মানবেন। নেত্রী বলেছেন কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারবেন না। এজন্য ড্যামি প্রার্থী থাকবে। এর অর্থ ড্যামি মানে আসল নয়। ড্যামি প্রার্থী হবে প্রার্থীর পছন্দের। আর কোন প্রার্থী না থাকলে ড্যামি প্রার্থী হবে। আর মতলববাজরা যারা নির্বাচন করতে চায় তারা এটাকে একটা অজুহাত বানিয়েছে। অজুহাত দিয়ে নেত্রীর কথার ভুল ব্যাখ্যা বানিয়েছে। তিনি বলেন, ১৭ ডিসেম্বরের পরে যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয় কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে দলে পদধারী নেতা হলে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে এবং শোকজ করা হবে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না। আর যদি দলের পদধারী না হয় তার জন্য দলের দরজা সারা জীবন বন্ধ থাকবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা লিপন, চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগনেতা শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু প্রমুখ।