নিউজ ডেক্সঃ শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে পূজা মন্ডপে নজরদারি এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব-১৫।
র্যাব জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’-এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করে আসছি।
২ পূর্জার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে এবং ০২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দূর্গাপূজা শেষ হবে। এ বছর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সর্বমোট ৩৪৮ টি পূজামন্ডপে (কক্সবাজারে-৩১৭, বান্দরবানে-৩১) শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। ডিজি মহোদয়ের নির্দেশক্রমে ও অধিনায়ক র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপসহ সকল শারদীয় দূর্গাপূজায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব-১৫।
অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ও মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করবে। পূজাকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহসহ বৃদ্ধি করা হয়েছে র্যাবের তৎপরতা ও নজরদারি। যে কোন ধরণের নাশকতা এড়ানোর লক্ষ্যে র্যাব-১৫ সার্বিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
পূজামন্ডপকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত র্যাবের ১২টি পিকআপ (৯৬ জন) ও ১১টি মোটরসাইকেল পেট্রোলিং (২২ জন) এবং সাদা পোষাকে (৪৫ জন) গোয়েন্দা নজরদারি চলমান রাখাসহ সর্বমোট ১৬৩ জন নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও বাড়তি নজরদারিসহ প্রস্তুত থাকবে র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স। এরই পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূজাকেন্দ্রিক যেকোনো গুজব এড়াতে ও পূজামন্ডপে নারী দর্শনার্থীদের ইভটিজিং রোধে জোরদার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পূজাস্থলে নিয়োজিত অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। যদি এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তাহলে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোনো ধরনের নাশকতার সম্ভাবনা নাই। যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে আমরা তৎপর রয়েছি। র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন সদরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সার্বিক নজরদারি অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকলে র্যাবকে তথ্য দিন, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আবারও শারদীয় দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।