বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে: এমএম জামানঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য পুলিশের কাছে ধরা পড়ে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানা গেছে। সহস্রাইল বাজারের ওই দুই বিকাশ প্রতারক হলেন ওই বাজারের অনলাইন ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসায়ী শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল গ্রামের রংধনু টেলিকমের কিবরিয়া মোল্যা ও একই ইউনিয়নের বাড়ইকান্দী গ্রামের পঙ্কজ বাড়ই। তাদের আটকের পর সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।
খুলনার খান জাহান আলী থানার উপপুলিশ পুলিশ পরিদর্শক মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, খুলনার শিরোমনি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মফিজুল ইসলাম মিস্ত্রিকে গত ১ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিজেকে তার ছাত্রের অভিভাবক দাবি করে। ওই ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার মোবাইল ব্যাংকিং রকেট একাউন্ট নম্বরে টাকা প্রাপ্তির একটি ভূয়া ম্যাসেজ দেন। তিনি বুঝতে না পেরে সরল বিশ্বাসে উক্ত নাম্বারে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত পাঠায়। পরে রকেট একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে খুলনার খান জাহান আলী থানায় হাফেজ মফিজুল ইসলাম মিস্ত্রি একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী কিবরিয়া ও পঙ্কজ বাড়ই এর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শেখর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল মোল্যার মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীর ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে তারা রেহাই পায়।
এ ব্যাপারে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল মোল্যা বলেন, কিবরিয়া ও পঙ্কজ বাড়ই এর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে ভুক্তভোগীর টাকা লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগকারীর টাকা ফেরত দেয়ায় পুলিশ কিবরিয়া ও পঙ্কজ বাড়ইকে ছেড়ে দেয়।
অভিযুক্ত সহস্রাইল বাজারের রংধনু টেলিকমের মালিক কিবরিয়া মোল্যা বলেন, ১০/১২ দিন আগে আমার দোকান থেকে যে ব্যক্তি প্রতারণার টাকা উত্তোলন করেছে আমি তাকে চিনি না। প্রতারক চক্রের সাথে আমি জড়িত নই।