বিশেষ প্রতিনিধিঃ চোরাই মোবাইলের IMEI পরিবর্তন করে বিক্রয় করার সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান সামজিদ’কে ১১২টি চোরাই মোবাইলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত আসামী- সামজিদ (২১) সে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মগনামা, ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ কাইসারের ছেলে। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে শহিদ টেলিকম ও লাইভ টেলিকম এর চোরাই মোবাইল বিক্রেতা কৌশলে পালিয়ে যায়।
র্যাব-১৫ জানায়, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় মোবাইল চোর সিন্ডিকেট এবং IMEI পরিবর্তনকারী চক্র IMEI পরিবর্তন করে অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন বা চক্রের সদস্যদের ও রোহিঙ্গাদের নিকট মোবাইল ফোন বিক্রয় করে আসছে। উক্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত বিষয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করতঃ (৪ অক্টোবর) অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন পৌরশহরের চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত শপিং কমপ্লেক্স এর মোবাইল কেয়ার থেকে কৌশলে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় গতিবিধি সন্দেহ হলে চোরাই মোবাইল বিক্রেতা সামজিদ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে চোরাইকৃত মোবাইল সংগ্রহ করে IMEI পরিবর্তন করে তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধী চক্রের নিকট বিক্রয় করে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত চোরাই মোবাইল বিক্রেতা সামজিদ এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহিদ টেলিকম ও লাইভ টেলিকম নামক মোবাইল দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে বর্ণিত ০৩টি মোবাইল দোকান তল্লাশী করে বিভিন্ন ব্যান্ড্রের সর্বমোট ১১২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিভিন্ন মাধ্যমে চোরাইকৃত মোবাইল সেট ক্রয় করতঃ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাদের নিজ নিজ দোকানের হেফাজতে রেখে বিক্রয় করে থাকে। তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ এই অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন মাধ্যম হতে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কম দামে ক্রয় করে IMEI পরিবর্তনের পর পুনরায় তা বিভিন্ন অপরাধী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে।
উদ্ধারকৃত চোরাই মোবাইলসহ ধৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।