এম রাসেল সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রথিতযশা কিছু সাংবাদিক ও সম্পাদকের কথা শুনলে লজ্জা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশের সবকিছু সম্পর্কে সাংবাদিকরা ভালো বুঝেন ও জানেন। কিন্তু সবচেয়ে মন খারাপ হয় তখনই যখন তারা সবকিছু জেনে গণতন্ত্র সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন। আর সরকারের ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতনগুলো তারা সমর্থন করেন। এগুলো দেখে অনেক লজ্জা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অডিটোরিয়ামে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো রাস্তার কর্মী, আমাদের কথা তো বাদ দিলাম। অথচ যে সাংবাদিকদের দেশের আয়না বলা হয়- আজ তাদের দেশের অবস্থা সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন থেকেই যায়। বড় বড় পত্রিকার এডিটর চ্যানেলের এডিটর তারা আজ কী ভূমিকা পালন করছে? অথচ সরকারের রোষানলে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অনেক সাংবাদিককে কারাবরণ করতে হয়েছে। আবার অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিককে নির্ঘিত হতে হয়েছে। সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ১৮ মাস কারাবরণ করতে হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কিছু না লেখে বা না বলে এজন্য তারা সবকিছু করছে। এমন কয়জনের কথা বলব-অসংখ্য সাংবাদিককে বিনা কারণে সরকার অন্যায়ভাবে হয়রানি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা ইলিয়াস আলীকে ১২ বছর হলো গুম করে দেওয়া হয়েছে। এরকম ৬৪৮ জনকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কয়েকদিন আগে ঈশ্বরগঞ্জে ৩০ বছর আগের মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি হাবিবকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে বিচারের নামে চলছে অবিচার। আর এ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন, তারেক রহমান নির্বাসিত থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সবাই মিলে আসুন এই দানবীয় সরকারকে বিদায় করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।