নিজস্ব প্রতিবেদক।। মুন্সীগঞ্জে টংগিবাড়ীতে অবৈধভাবে খালের জায়গা দখল, মাটি ভরাট ও ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, উপজেলার বালিগাঁও বাজার সংলগ্ন তালতলা-ডহুরি(গৌরগঞ্জ) খালের পার্শ্বে বিআইডব্লিউটি এর জমি অবৈধ ভাবে দখল করে জমির মাটি কেটে বাধ নির্মাণ করে মাটি ফেলে ভরাট করে রাতের আধারে ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে বালিগাঁও বাজারের রড সিমেন্টের ব্যবসায়ী আসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বালিগাঁও বাজার সংলগ্ন তালতলা-ডহুরি(গৌরগঞ্জ) খালের পার্শ্বে বিআইডব্লিউটি এর জমি দখল করে মাটি ফেলে ঘর তোলা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, গত ৫ আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ী আসলাম মোল্লা গত ৮ সেপ্টেম্বর জোড়পূর্বক মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে ‘খালের জায়গা দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এ ক্ষমতার দাপটে সব কিছু ম্যানেজ করে অবৈধ দখলে উগ্র হয়ে উঠেছ।
স্থানীয়রা আরো বলেন, বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দুলালের বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জুলাহাসের প্রভাবেই বিআইডব্লিউটি এর জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ২৮ ডিসেম্বর(শনিবার) রাতের আধারে মাটি ফেলে ঘর নির্মাণ করেন আসলাম মোল্লা। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা রেখে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা লুফে নেন। তবে তার এ অপকর্মের বিষয় মুখ খুললে দেন হুমকি ধামকি বলেও অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, আসলাম মোল্লা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, যতটুকু জানি ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। ৫ আগস্টের পর বিআইডব্লিউটিএর জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করেছে। এটা সরকারী সম্পত্তি। ভুমিদস্যু এই আসলাম মোল্লার বিচার হওয়া উচিত। আমরা প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলায় ভাসানোর ভয় দেখানো হয়।
অভিযুক্ত আসলাম মোল্লা বলেন, আমগো জাগায় আমরা ঘর তুলছি। বিআইডব্লিউটি এর জায়গা আমগো লিজ নেওয়া আছে। সেই জায়গায় ঘর তুলিও নাই। জুলহাস চেয়ারম্যানের জায়গা, তার জায়গায় সে ঘর তুলছে। আমার জায়গা যেটা আছে মালিকানা জায়গা, আমার দলিল আছে, নামজারী আছে, খাজনা-পাতি আপটুডেট করা আছে। আর পেছনে বিআইডব্লিউটি এর জায়গায় মাটি ফালাইছিলাম। আমার বক্তব্য স্পস্ট।
এবিষয় জানতে বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবু সাঈদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্পটে আমি গেছিলাম। এটা করতেছে আসলাম মোল্লা। মাটি কেটে ভিটি বানাইছে। আরেকটা করতেছে হচ্ছে- জুলহাস চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া কাঠের দোকানদার। একটা ছোট পাকের ঘর ছিল। সেই পাকের ঘরটারে বাড়াইয়া অনেক বড় করে ফেলছে। আমরা গিয়ে দেখি যে প্রায় ১২আনি কাজ করে ফেলছে। তারপর আমরা কাজ বন্ধ করে দিসি। এটা বিআইডব্লিউটিএর জায়গা। আমরা এর আগেও সেখানে গিয়েছিলাম, বলেছি আপনারা এখানে কেউ কোনো কাজ করতে পারবেন না এটা সরকারী জায়গা।
এবিষয় বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দুলাল বলেন, আমি এই মাত্র ভাই পুলিশের সাথে কথা বললাম। পুলিশেরে এর আগেও জানাইছে- আমার ভাইয়ের জায়গা আমি অর্ডার দিছি ঘর উঠাইতে। আমার ভাইয়েও জানে না আমিও কিছু জানি না। এখন যার কথা বললেন(আসলাম মোল্লা) সে হতে পারে। সে হওয়ার সম্ভবনা বেশি। যা লেখেন লেইখা দেন। আমরা এব্যপারে কিছুই জানি না।
এবিষয়ে জানতে টংগিবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন দোলন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।