এমএম জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কথিত সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি,নিরীহ মানুষদের হয়রানি সহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের বিস্তর অভিযোগ পাওয়াগেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ উত্থাপন করেন উপজেলার সাতৈর,ঘোষপুর,দাদপুর ও ময়লা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারের সার-কীটনাশকের ব্যবসায়ীরা।
সাতৈর বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন,প্রতারক ও ভূয়া সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহর বাড়ি উপজেলার সাতৈর গ্রামে। তার বাবার নাম খন্দকার সাফায়াত হোসেন সাপু। আব্দুল্লাহ নিজেকে একটি ভূঁইফোড় টেলিভিশনের সাংবাদিক ও সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারের সার-কীটনাশক,ঔষধের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। সে ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার লাইসেন্স সহ বৈধতার অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চায়। কেউ এটা দেখাতে ব্যার্থ হলে বা দেখাতে না চাইলে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন আব্দুল্লাহ। এটা দিতে কেউ অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে টিভিতে সংবাদ প্রকাশ সহ বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকী ও ভয়-ভীতি দেখানো হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও সমাজ জীবনে চলার পথে বিভিন্ন রকমের ত্রুটি-বিচ্যুতির সূত্র ধরে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় অথবা ব্ল্যাকমেইল করে অবৈধ সুবিধা নিয়ে থাকে খন্দকার আব্দুল্লাহ। তার জুলুম- অত্যাচারে গ্রাম-গঞ্জের মানুষেরা এখন অতিষ্ঠ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নামধারী প্রতারক খন্দকার আব্দুল্লাহকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান ব্যবসায়ীরা। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মিজানুর রহমান,মোঃ মামুন,মুন্নু মোল্লা,বিদ্যুৎ সাহা ও এরশাদ ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,আব্দুল্লাহ আমার চাচাত ভাইয়ের ছেলে। তাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে শাসিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি। এরপরও সে পথে ফিরে না আসলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলবো। কাউকে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটার সুযোগ দেয়া হবেনা।