নিউজ ডেক্সঃ দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে ৮ জন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে বেনাপোল চেকপোস্ট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চৌধুরী সুপার মার্কেট থেকে দুইজনের ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যবসায়ীকরা। খোয়া যাওয়া বাকী ব্যক্তিদের টাকা নিয়ে ছিনতাইকারী লাপাত্তা হওয়ায় ও নামমাত্র স্টোরগুলো বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ার কারনে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দেশের গুরুত্বপুর্ণ এলাকা এবং রাষ্ট্রের ভারত গমনের প্রধান ফটক বেনাপোল চেকপোষ্ট। এই পথে প্রতিদিনি ৫ থেকে ৭ হাজার দেশী বিদেশী লোক যাতায়াত করে থাকে। আর ওইসব যাত্রীদের এক শ্রেনীর ছিনতাইকারী লাইনের আগে অনলাইন ট্যাক্স, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হবে না এসব প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে তাদের নির্দিষ্ট ঘরে। তারপর অনলাইন ফর্মপূরণ এবং টাকার নাম্বার লিখতে হবে, না লিখলে কাস্টমস আটক করবে বলে নানা ভাবে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের বুঝিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা গুনতে গুনতে পাসপোর্ট যাত্রীর অগোচরে ফেলে দেয় টেবিলের নীচে। এভাবে প্রতিনয়ত সাধারন এসব যাত্রীদের টাকা ছিনতাই করছে এই চক্রগুলো।
দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। আর এসব ঘটনা জেনেশুনেও বেনাপোল পোর্ট থানার নীরবতায় দিন দিন আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক প্রতারক, দালাল ও ছিনতাই চক্রগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের আশে পাশে একাধিক জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা দালাল ক্ষ্যাত ছিনতাই চক্র দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের টার্গেট করে। এরপর তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে তারা তাদের নির্দিষ্ট ঘরে নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে টাকা ছিনতাই করে। এসব ছিনতাইকারীদের ভয়ে স্থানীয়রা কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। কারন এরা দলে অনেক ভারী। আর এসব চক্রগুলোর সহযোগিতা করে নামধারী কিছু সাংবাদিক, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন ও অসাধু কিছু পুলিশ।
বেনাপোল হয়ে ভারত গমন যাত্রী ছিনতাই কারীর কবলে পড়া খুলনার বটিয়া ঘাটার সাগর হোসেন পাসপোর্ট (A04117714) বলেন, সকালে আমি ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ৭ঃ৩০ এর দিকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে কয়েকজন লোক আমাকে বলে অনলাইনে ভ্রমণ ট্যাক্স জমা দিলে তারা বন্দরের লম্বা লাইনের আগে আমাকে ইমিগ্রেশন এ পৌঁছে দিবে। এই কথা বলে তারা আমাকে লাইন থেকে নিয়ে একটা কম্পিউটার এর দোকানে নিয়ে বসায় তারপর ট্যাক্স জমা দেওয়ার পর আমাকে অন্য আর একটা রুমে নিয়ে যায় এবং অনলাইনে আরো একটা ফরম পূরণের জন্যে টাকার নাম্বার লিখতে হবে এই বলে তারা আমার হাতে থাকা ৫২ হাজার টাকা নিয়ে গুনতে থাকে এবং সেখান থেকে ২৩ হাজার টাকা কৌশলে সরিয়ে ফেলে এবং বন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যকে দিয়ে আমাকে লাইনের আগে পার করে দেয়।
এসব দৃশ্য দেখে এলাকার সাধারন মানুষেরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।