শিরোনাম:
ডিবি পুলিশের হাতে জামায়াত নেতা’কে হত্যার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি শাহিন ফরিদপুরে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উদযাপন সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম স্মরনে গাছের চারা বিতরণ আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন  বেনাপোলে গাঁজা সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার  ফরিদপুরে যুবদল নেতা পরিচয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল পাকা স্থাপনা নির্মাণ বেনাপোলে কম্বল, শাড়ি, ফেন্সিডিল ও মদ সহ মেহেরাব পরিবহন জব্দ  সরকারের যেকোনো প্রজেক্টের পেছনে একটা সৎ উদ্দেশ্য থাকে- এসিল্যান্ড ফারজানা বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ির নির্মাণের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সিগঞ্জ লৌহজং হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাবলে হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি কুক্ষিগত করেন মো. মোজ্জাম্মেল হক। এরপরই শুরু করেন তার রূপ দেখানো। অন্য মানুষের জমি দখল করেন বাড়ি তৈরি করার উদ্দেশ্যে।এ বিষয়ে এলাকাবাসী নিষেধ করলেও বেপরোয়া মোজাম্মেল হক কারো কথাই শুনতেন না। চেয়ারম্যান আর দলীয় পদের জোড়ে অন্যের জমিতে তৈরী করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।

পর পর তিন বার তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতা বলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই বারই মোজাম্মেল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ শাসন আমলে জোর জুলুম করে দখল করে নেন মানুষের জায়গা জমি। ক্ষমতায় থাকার কারণে তিনি কাউকে পাত্তায়ই দিতেন না। অথচ সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হকের প্রতিবেশী কাজী সোলেমান এর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মো. মোজাম্মেল হক তাদের পত্রিক সম্পত্তি দখন করে নির্মাণ করেছেন বিশাল অট্টালিকা। জোর করে তাদের জমিতে তৈরী করেছেন রাস্তা। শিমুলিয়া মৌজার আর এস ২০৫ ও ২০৬ নং দাগে ২১ ও ৪ শতক জমি তাদের। কিন্তু রেকর্ডে কিছুটা ভূল থাকায় তারা মুন্সীগঞ্জে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে ২০১৬ সালে তাদের অনুকুলে রায় পান। এ খবর জানতে পেরে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তাদের পত্রিক সম্পত্তির ২৯ শতাংশ জমি থেকে একটি অংশ জোর করে দখল করে নেন। সেখানে সে নির্মাণ করেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। আমরা তার কাছে আমাদের জমি ফেরৎ চাইলে আমাদেরকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো হুমকো ধমকি দিয়েছেন। ভয়ে এতদিন কিছু না বলতে পারলে ও আমরা আমাদের জমি ফেরৎ পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চেয়ারম্যানের বাড়ির ভেতরে সরকারী সম্পত্তিসহ আরও কয়েক জনের জমি রয়েছে। এক বক্তির ৯৬ শতক জমি চেয়ারম্যান দখল করে রেখেছে। ক্ষমতার জোড়ে সে এসব জমি দখল করে নিয়েছে। এক দিকে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অপর দিকে চেয়ারম্যান তাই তার কাছে পাত্তায়ই পায়নি এসব ভূক্তভোগী।

এখন ক্ষমতা নেই, গা ঢাকায় দিয়েছেন চেয়ারম্যান, ভূক্তভোগীরা এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। এসকল লোকজন তাদের জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছে।

এছাড়া মোজাম্মেল হক ক্ষমতার বলে বিআইডব্লিউএ’র শিমুলিয়া ঘাটের রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু গত বছর বিআইডবিউটিএ সে ওয়াল ভেঙে দিলে তিনি ক্ষমতার বলে নিজস্ব লোকজন নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর লোকজনের প্রতি আক্রমনের চেষ্টা চালায়। দীঘ দিন তিনি চুপ থাকলেও এখন আবার তিনি সেই খানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছেন।এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের নাম্বারের একাধিক বার ফোন দিয়েও তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ