এম রাসেল সরকার: নিজের আপন ভাইবোনের জমিজমা, দোকানপাট সহ আত্মীয় স্বজনের সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখলকারী ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ওয়াহিদ এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ পেতে যাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বিতর্কিতদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আ’লীগ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি কাছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ৭৫টি ওয়ার্ড ২৪টি থানা কমিটি জমা দিয়েছে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ। আর এই কমিটি জমা দেয়ার পর থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবিত কমিটিতে কোঠা ভিত্তিক মোটা টাকায় পদ বানিজ্যের মাধ্যমে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে গ্রহন যোগ্যতাহীন অযোগ্য লোকজনকে কমিটিতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ওয়ার্ডের কমিটিতে সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদ দুজনেই চরমভাবে বিতর্কিত। তৃণমুল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা দলীয় হাইকমান্ড সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমুলে গ্রহন যোগ্যদের হাতে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিবেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মতিঝিল থানাধীন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটিতে সাধারন সম্পাদকের পদে মোটা টাকার বিনিময়ে তৃণমুলের অজান্তে তাদের মতামত বা চাওয়া পাওয়া বাদ দিলে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরবের কোঠায় তার বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার বিশিষ্ট ভুমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদকে মনোনিত করে কমিটি জমা দেয়া হয়েছে।
তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছেন, যার কাছে নিজের পরিবাবের সদস্যরাই নিরাপদ নয়, তার হাতে ক্ষমতা দিলে কি হতে পাবে ভাবাই যায় না। তাছাড়া ওয়াহিদ একজন নেশা গ্রস্থ লোক, তার সাথে তৃণমমুল কর্মীদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ সহ দলীয় প্রোগ্রামে তৃণমমুল কর্মীদের সাথে তাকে কখনো রাজপথে দেখা যায়নি। বিএনপির লোকজনের সাথে তার রয়েছে গভীর সখ্যতা। টাকা দিয়ে পদ কিনে নেয়ার মতো সামর্থ্য তার থাকলেও তৃণমুল কর্মীদের মধ্যে ১% গ্রহনযোগ্যতা তার নেই, অনেকে তাকে চিনেই না।
ওয়াহিদের পারিবারিক লোকজন বলেন, দলীয় কোন পদে না থেকেই আপন ভাইবোন জমিজমা, আপন চাচা জমিজমা জবরদখল করে রেখেছেন। আর ক্ষমতা পেলে তো দাপটে ঘরেই থাকা যাবে না। তার নির্যাতন থেকে বাঁচতে থানায় কেইস মামলা জিডি এন্ট্রি করেও কোন লাভ হয়নি। কারন সে টাকা দিয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে নিতে জানে।