বিশেষ প্রতিনিধিঃ জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ০২ মে ২০২৪ তারিখ সকাল সাড়ে ৬টার সময় মনিরামপুর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর থানাধীন জোঁকার মাঠে ধান ক্ষেত থেকে ১ জন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। এই সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। জানা যায়, তার নাম : মেসকাত (৪১), পিতা- নিজাম প্রামানিক, সাং-শ্রীপুর, থানা- ভাঙ্গুরা, জেলা-পাবনা। ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের ভাই এরশাদ আলম বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মনিরামপুর থানার মামলা নং-০৪ তাং-০৩/০৫/২০২৪খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইতোপূর্বে ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ একজন নারী ভাড়াটে কিলারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন। সে সময় একমাত্র হত্যাকারী ভাড়াটে কিলার শাহীন পলাতক ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কিলার শাহীনকে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু ও ঘুমের ঔষধ উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কিলার শাহীনের বিরুদ্ধে মোড়লীর সোহেল হত্যা ও রাজগঞ্জের রাসেল হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২ লক্ষ টাকার চুক্তিতে মেসকাতের পরকীয়া প্রেমিক নাজমা বেগমের পরিকল্পনায় রিক্তার মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা চুক্তি করে কিলার শাহীন মেসকাতকে হত্যা করে।
আসামীর তথ্য:
১। মোঃ শাহিন হোসেন (৪৪), পিতা-নুর মোহাম্মদ, মাতা-মৃত আছিয়া বেগম, সাং-ঝাউডাঙ্গা, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা এ/পি- সাং- শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া বাবুল এর বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। হত্যাকাজে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু
২। ঘুমের ঔষধ।