অস্ত্র-গুলিসহ আরসার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবুল হাশিম ও প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী’সহ তিন সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বর্তমানে আরসার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবুল হাশিম ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী’সহ তিন আরসা সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশনের একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫। এসময় ২টি বিদেশী অস্ত্র, ১টি দেশীয় তৈরী এলজি এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আরসা’র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে আরসা’র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অপরাধ দমনে সার্বক্ষনিক মনিটরিং’সহ র‌্যাব-১৫ শুরু থেকে আরসা’র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট রয়েছে। এ যাবত পর্যন্ত র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ক মোস্ট ওয়ান্টেড কিলার গ্রুপের প্রধান, ক্যাম্প কমান্ডার, ওলামা বডি ও টর্চার সেল এর প্রধান, স্লীপার সেল ও ওলামা বডির অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার, অর্থ সমন্বয়ক, ইন্টেলিজেন্স সেলের কমান্ডার, লজিস্টিক শাখার প্রধানসহ সর্বমোট ১০১ জন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৭টি বিদেশী পিস্তল, ৫২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১৪০ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ পিস ককটেল, ৪ পিস আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) উদ্ধার করা হয়।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার ২০নং এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোঃ আসাদু উল্লাহ নামে এক যুবককে ১০/১৫ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১৫ কাজ শুরু করে এবং বৃদ্ধি করা হয় গোয়েন্দা তৎপরতা। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কয়েকজন আরসা সদস্য কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দিক-বিদিক কৌশলে দ্রুত পালায়নের চেষ্টাকালে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বর্তমানে আরসার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবুল হাশিম ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী’সহ তিন আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় ২টি বিদেশী অস্ত্র, ১টি দেশীয় তৈরী এলজি এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কক্সবাজারের উখিয়া ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-জি/৯ মোঃ নুর হোসেনের ছেলে আবুল হাসিম  (৩১), বালুখালি-২ ব্লক-এইচ/০১ ১২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে হোসেন জোহার প্রকাশ আলী জোহার (৩২),৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-ডি/৭ নূর আলমের ছেলে মোঃ আলম প্রকাশ শায়ের মুছা (৩৫)।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ