তারাবো বিশ্বরোড সড়ক পরিবহন সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে জসিম-কামরুল গং চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এম রাসেল সরকার: রূপগঞ্জ তারাবো মহা সড়কগুলোতে পরিবহন সেক্টরে প্রতিযোগিতা দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। আঞ্চলিক সড়ক থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত রয়েছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন রেজিঃ ৪৯৪ সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে মো: জসিম খান, কামরুল ইসলাম কামু, রিপন, হারুন, রাজু, ফারুক জোরপূর্বক চালকদের কাজ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

তথ্য সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন রেজিঃ ৪৯৪ ভূয়া কমিটির নামে তারাবো বিশ্বরোড মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে মো: জসিম খান, কামরুল ইসলাম কামু, রিপন, হারুন, রাজু, ফারুক, তামিমগং। জোর করে যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে গাড়ি চালকদেরকে নির্যাতন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রুপগঞ্জ তারাবো মহাসড়কে আসমানী পরিবহন নামক যাত্রীবাহী গাড়ি আটক রেখে চালককে নির্যাতন জুলুম সহ চাঁদা না দেয়ার কারণে গাড়ি গুড়িয়ে দেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বছরের পর বছর প্রকাশ্যে এমন চাঁদাবাজি চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের সাথে কমিউনিটি পুলিশ আর পৌরসভার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ।

প্রতিটি গাড়ি থেকে তোলা হচ্ছে ১০ থেকে ৩০০ টাকা। রূপগঞ্জ থানা তারাবো এটি নিত্যদিনের চিত্র। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা বাইপাস সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে কীসের টাকা তোলা হচ্ছে এভাবে? ভুক্তভোগীরা জানালেন, কীসের টাকা জানি না। কিন্তু দিতে হয় তাই দিয়েই যাচ্ছি।

উপজেলার তারাবো, রূপসী, ভূলতা, কাঞ্চনসহ অন্তত ৩৬টি স্পটে যাত্রী আর পণ্যবাহী গাড়ির চালককে দিতে হচ্ছে টাকা। চাঁদা না দিলেই চলে জুলুম, নির্যাতন। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ- এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিরব দর্শকের। দিতে হয়, নাহলে জুলুম করে। অথচ সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে হাইকোর্ট গত ২৫ সেপ্টেম্বর টার্মিনাল ছাড়া টোল বা চাঁদা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর স্থানীয় সরকার সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের টোল আদায় বন্ধের নির্দেশনা দেয়। কিন্ত কোনো নিয়মই মানছে না প্রভাবশালী মহল।

চাঁদা আদায়কারি এক কর্মচারী জানালেন, স্ট্যান্ডের ডাক যার নামে আসছে উনি আমাদেরকে ডিউটি করতে বলেছেন। তাই আমরা ডিউটি করছি।

মেয়র বলছেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি! আঞ্চলিক সড়ক ছেড়ে মূল সড়কে টোল আদায়ের ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দেন। বাইরের কেউ যদি কাঞ্চন পৌরসভার রশিদ দিয়ে টাকা উঠায় তাহলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। অভিযগের সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তাদের ইজারা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করে দেবো।পুলিশের দাবি, চাঁদাবাজ আর ছিনতাইকারীরা একসাথে কাজ করছে বলেও প্রমান পেয়েছেন তারা।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অন্যান্য যে অপরাধ যেমন ধরুন- ছিনতাই বা ডাকাতি যারা করছে তারা একসাথে কাজ করে। ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে যুক্ত না থাকলেও তাদের নাম বা পরিচয় অনেকেই ব্যবহার করছে। তবে এসব অপরাধের সাথে যেই জড়িত হোক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চাঁদাবাজ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা হবে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ