এমএম জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন (ফরম) পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ফরিদপুর-১ সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলায় ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এ আসন থেকে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের সাবেক সহ সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ২ টায় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইনের কার্যালয়ে এ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দশক ধরে ফরিদপুর-১ আসনের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালির সর্বস্তরের মানুষের, এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি মনে করি এ এলাকার মানুষ আমাকে চায়। আমি আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি মনে করি, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ অঞ্চলের ভোটারগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।
সরকার দলীয় প্রার্থীর থেকে কোন চাপ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দোলন বলেন, ‘সরকার কখনোই কাউকে চাপ দেয় না ও দেবেও না। নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন স্বাধীন ভাবে পরিচালনা করবে। তারা বলেছে, সুস্পষ্ট ভাবেই বলেছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের সকল সংস্থা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে মাঠে কাজ করছে। জনগণ যে রায় দেয় সকলে তা মেনে নিবে, সরকারও মেনে নিবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা, সরকারের কথা, আমার কথা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হবে এটা আমার বিশ্বাস, জনগণের বিশ্বাস। এখানে চাপ প্রয়োগের কোন বিষয় নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমি বিপুল সাড়া পাচ্ছি, ইতোমধ্যে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালির হাজার হাজার মানুষ আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন এবং তারা চায় এই জনপদ যেন শান্তির জনপদ হয়, উচ্ছৃঙ্খলতা যেন কোনভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা না পায়। এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে একত্রে বসবাস করতে পারে, জাতীয় উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে এ অঞ্চলের উন্নয়ন হয়, আমরা যেন পিছিয়ে না থাকি সেই জন্য তারা আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি কয়েক দশক ধরে যে মানবিক কাজ করেছি তা তারা দেখেছে, অন্যদের কাজও দেখেছে, তাই জনগণ কাজের মূল্যায়ণ করবে, তারা তাদের রায় আমাকে দেবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি নির্বাচিত হলে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে এ অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবো- যাতে এ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে কম্পিউটার আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমন্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো সেই সাথে আমি নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো।
এ ছাড়াও আরো যারা মনোনয়ন পত্র জমা দেন তারা হলেন- ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন আব্দুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. মির্জা নাহিদা রহমান বন্যা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের পক্ষে তার মনোনয়ন ফরম জমা দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের ভাগ্নে মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী কে এম. নুরুল ইসলাম সিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্তারুজ্জামান ও জাকের পার্টির আব্দুর রউফ মোল্যা। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. গোলাম কবির নির্দিষ্ট সময়ের ২ মিনিট পরে আসায় তার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন নাই।