বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার পরকীয়ার জেরে এক গৃহবধূর (২৭) ঘরে ঢুকে কান হারিয়েছেন টিপু সুলতান (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মী।
জানা যায়, বিলবোয়ালিয়া এলাকার রায়েত আলীর ছেলে টিপু সুলতান যুবলীগের কর্মী। মিছিল মিটিংয়ে গেলেও কোনো কমিটিতে তার পদ-পদবি নেই। টিপুর ঘরে স্ত্রী ও সন্তান আছেন।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, টিপু আমাদের দূর সম্পর্কের ভাই হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে আমার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। তার যাওয়া আসাতে আমার সন্দেহ হয়। এজন্য টিপুকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছি অনেকবার। কিন্তু টিপু কথা শুনেনি। গতকাল বিকেলে আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে মোটরসাইকেল নিয়ে সে আমার বাড়ি যায় এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এমন সময় আমি তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে টিপু আমার গলা চেপে ধরে। এসময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আমি তার কানে কামড় দিয়ে কান ছিড়ে নিয়েছি। এ বিষয়ে একটি মামলা করবে বলেও সে জানায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার বিকেলে ওই নারীকে একা ঘরে পেয়ে টিপু তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় টের পেয়ে ওই নারীর স্বামী ঘরে ঢুকে টিপুকে ঝাপটে ধরেন। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই নারীর স্বামী টিপুর বাম কানের নিচে কামড় বসিয়ে দিলে এতে কানের বেশ খানিকটা অংশ কেটে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান টিপু।
বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযুক্ত যুবলীগের রাজনীতি করলেও তার কোনো পদ-পদবি নেই।
বোয়ালিয়া শ্যামপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (আইসি) বিশ্বনাথ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে টিপু সুলতানের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জের ধরে সে ওই বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। সোমবার যখন টিপু সুলতান ওই নারীর বাড়িতে যায় তখন তার স্বামী টের পেয়ে তার তাদের এক সঙ্গে ধরে ফেলে। হাতাহাতির একপর্যায়ে তিনি বাম কানে কামড় দিয়ে কানের খানিকটা অংশ ছিড়ে ফেলেন। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।