তিন কোটি টাকার ৩.২ কেজি আফিমসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার  

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দূর্লভ মাদক আফিম পাচারকালে বান্দরবান সদরের হাফেজ ঘোনা এলাকা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্য মানের ৩.২ কেজি আফিম উদ্ধারসহ চিংহ্লামং মারমা নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

র‌্যাব জানায়, গোপন সূত্রে জানতে পেয়ে আফিমের একটি বড় চালানসহ কতিপয় মাদক কারবারী বান্দরবানের বারমাইল হতে বাসযোগে বান্দরবান শহরের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বান্দরবান জেলার সদর থানাধীন সদর ইউনিয়নের রুমা স্টেশন সংলগ্ন হাফেজ ঘোনা এলাকায় রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এ সময় থানচি থেকে বান্দরবানগামী সুগন্ধা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (যাহার রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো-ব-০৫-০১৬৫) থামানোর জন্য র‌্যাবের আভিযানিক দল সংকেত দিলে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন ব্যক্তি হাতে পলিব্যাগসহ সন্দেহজনকভাবে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও সাথে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ০৩ কেজি ২০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করা হয়। কথিত আছে উদ্ধারকৃত অবৈধ আফিম এর আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি দুই লক্ষ টাকা।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় চিংহ্লামং মারমা (৬০), পিতা-আপ্রুমং মারমা, সাং-মিনিঝিড়িপাড়া, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবান বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত চিংহ্লামং মারমা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী এবং কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। সে পার্বত্য বান্দরবান কেন্দ্রিক আফিম ক্রয়-বিক্রয় এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। সে বান্দরবানের পাহাড়ী মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সার্বিক সমন্বয় করে দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল এবং ক্ষেত্র বিশেষ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আফিম নিয়ে আসতো। অতঃপর অবৈধ পথে পাচারকৃত মাদক নিজের হেফাজতে মজুদ’সহ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখত। পরবর্তীতে আফিমসহ অন্যান্য মাদকের চালান ভাগ ভাগ করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে বান্দরবানসহ পাশ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এবং চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্ধারিত মাদক কারবারী এজেন্টদের নিকট পাচার করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশলী পন্থায় শরীরের মধ্যে মাদক বেধে, গাড়িতে সেট করে, ব্যাগের ভিতরে সু-কৌশলে লুকায়িত করে এবং যাত্রী সেজে শহরমুখী বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে এসকল মাদক বহন করতঃ পাচার করতো বলে জানা যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী আফিমের উৎস ও গন্তব্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়গুলো অপ্রকাশিত থাকছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ