বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুরে অবস্থিত আবাসিক মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে অফিস রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামিয়া ইসলামিয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন (৩০) এর বিরুদ্ধে। শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সাতাউক গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে।
শুক্রবার রাতে ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়াকালীন বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আরবি শিক্ষক শিহাব উদ্দিন। গত ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার অফিসকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিহাব। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ছাত্রীকে ভয় দেখান। এরপর পুনরায় আবারও ৯ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে ফোন করে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে অফিসকক্ষে ধর্ষণ করেন ছাত্রী ধর্ষণকারী শিক্ষক শিহাব উদ্দিন। ধর্ষণের পর ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার পরিবারের কাছে সব ঘটনা বলে দেয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নাসিরনগর থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতেই একমাত্র আসামি শিহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব উদ্দিন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।