এস এ মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন খড়িডাঙ্গা গ্রাম থেকে বেড়ানোর কথা বলে রাজাপুর গ্রামে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আসাদ ও আশানুর নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
আটককৃত প্রধান আসামী- বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রাজাপুর গ্রামের মোঃ হানেফ আলীর ছেলে মোঃ আসাদ (২০) ও দ্বিতীয় আসামী একই এলাকার হাসানুর রহমানের ছেলে মোঃ আশানুর রহমান আশা (২৪)।
এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি এজহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এজহার দায়েরের মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামি ধর্ষক আসাদ ও দ্বিতীয় আসামি ধর্ষকের সহযোগী আশানুরকে গ্রেফতার করে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শংকর।
ভুক্তভোগীর বোন জানায়, গত শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ধর্ষিত মুন্নী (১৬) (ছদ্মনাম) বেনাপোল পোর্ট থানাধীন খড়িডাঙ্গা মাহফিল উপলক্ষে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। একই দিন সভা চলাকালীন সময় রাত সাড়ে ৮টার সে এলাকার চুড়িমালার দোকানে গেলে সেখানে দূরসম্পর্কের আত্মীয় প্রধান আসামি আসাদ ও তার বন্ধু আশানুরের সাথে দেখা হয়। এসময় তারা মাহফিল চত্বরে ফুসকা খায় এবং ঘুরাঘুরি করে। একসময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসাদ মুন্নীকে (ছদ্মনাম) বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আসাদের বন্ধু দ্বিতীয় আসামি আশানুর রহমান আশার চালিত মোটরসাইকেলে আসাদ ও মুন্নীকে (ছদ্মনাম) উঠিয়ে তার বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রাজপুর গ্রামে নিয়ে আসে। এসময় বাড়িতে কেন লোকজন না থাকায় ভয় পেয়ে মুন্নী চলে আসতে চাইলে আসামীদ্বয় জোর করে শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় আসামি আশানুর তাদেরকে ঘরের ভেতর রেখে বাহির থেকে উক্ত ঘরের দরজা আটকিয়ে দেয়। এসুযোগে আসামী আসাদ জোর করে তাকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে রাত ৩টার সময় ২য় আসামি আশানুর মোটরসাইকেল করে ভুক্তভোগীকে তার বোনের বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যায়। বোনের কাতর অবস্থায় দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনা খুলে বলে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ঘটনা পুলিশি নজরে আসার ঘন্টা দু’য়ের মধ্যে আসামীদের আটক করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং ভুক্তভোগীকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানাধীন এলাকায় সব ধরনের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড নির্মূলে আমরা সর্বদা সজাগ আছি বলেও তিনি জানান।