মতিউর রহমান রিয়াদঃ ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশ যেখানে স্বাধীনভাবে মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাস নিচ্ছে, ঠিক সে সময় এক অসহায় পরিবারকে, বাড়িতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে ৬ ফুট ওয়াল দিয়ে তার উপরে সমিলের করাত বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির খবর পাওয়া গেল।
এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, মুন্সীগঞ্জের, লৌহজং উপজেলার, লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়নের ২ওয়ার্ডের বড় নওপাড়া গ্রামে।
আদালতের নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দুর্বৃত্তরা । মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভুক্তভোগী মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে মোঃ আমির হোসেন শেখ ও মালা বেগমের পরিবার।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, র্যাব ১১ য়ে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ২০/০৯/২৩ তারিখে ভুক্তভোগী আমির হোসেন সিএস, এস এ ও আর এস পর্চায় পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে বসবাস করে আসছেন।
মালিকানাধীন জায়গায় চারিদিকে প্রাচীর নির্মাণ করে মৃত কালু শেখের ছেলে মোঃ রতন শেখ, মৃত আঃ লতিফ মোল্লার ছেলে মোঃ রঞ্জু মোল্লা, মোঃ হামিদ মাদবরের ছেলে মোঃ সাহাবুদ্দিন, মৃত খলিল খাঁয়ের ছেলে মোঃ হাবিব খাঁ, মৃত কাশেম শিকদারের ছেলে শাহীন শিকদার, মৃত ফজল মোল্লার ছেলে হাই মোল্লা,মৃত মজিদ শেখের ছেলে মোঃ নান্দু বাবুর্চি ও মৃত আহমদ শেখের ছেলে মকবুল হোসেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে বড় নওপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের বসতভিটার চারিদিকে ৬/৭ ফুট উঁচু করে ইটের দেয়াল দেওয়া হয়েছে। দেয়ালের উপরে সমিলের করাত দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেয়াল টপকিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন কাজে ঘর হতে বাহির হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী আমির হোসেন বলেন আদালতের নির্দেশনা কে উপেক্ষা করে আমাদেরকে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে। সভ্যতার যুগে স্বাধীন দেশে একটি পরিবার কে জেলখানার মতো জবরদখল করে আটকিয়ে রেখেছে। আমি এই বন্ধিদশার থেকে মুক্তি চাই।
আমির হোসেনের স্ত্রী মালা বেগম বলেন আমি হার্টের রোগী, এই ৬/৭ ফুট দেয়াল টপকিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়।