যশোরে রাজীম হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-২

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোর চুড়িপট্টিতে রাজীম হত্যার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন, হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বৃহষ্পতিবার (৯ নভেম্বর)রাত ৮টার দিকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন হাজী আব্দুল করিম রোড, চুড়িপট্টিস্থ মেসার্স জাহিদ এন্টারপ্রাইজ এর সামনে আসামী ১) মোঃ রায়হান (২০), পিতা-মোঃ রাইজ, ২) মোঃ পায়েল (১৯), পিতা-ইয়াছিন, ৩) মোঃ ইয়ামিন (১৯), পিতা-বিপ্লব @ চাকমা বিপ্লব, ৪) শিমুল (২৫), পিতা-মোঃ রুস্তম গাজী, সর্বসাং-পূর্ব বারান্দিপাড়া (মোল্লাপাড়া), ৫) মোঃ রায়েব সিদ্দিক (১৭), পিতা-মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং-ঝুমঝুমপুর (চান্দের মোড়), সর্ব থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোরগণ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভিকটিম মোঃ রাজীম (১৭), পিতা-মোঃ বাদল (৫৫), পিতা-মৃত শামছুল হক খান, সাং-ঝুমঝুমপুর (প্রাইমারী স্কুল মোড়), থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর’কে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত ও এলোপাথাড়ী কিল-ঘুষি, লাথি মেরে গুরুরত আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল, যশোর নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় শুক্রবার ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় আসামী মোঃ রায়হান (২০) কে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে। এরপর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানা যায় যে ভিকটিম রাজীম এর সাথে রায়হান গ্ৰুপের কিছু দিন আগে একটা মারামারি হয়েছিল সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রায়হান সহ কয়েকজন মিলে এই হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

পরবর্তীতে রায়হান কে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অপর আসামী মোঃ রায়েব সিদ্দিক (১৭)কে অদ্য ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৮টার সময় ঘোপ সেন্ট্রাল রোড হতে গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনার সময় আসামী মোঃ রায়েব সিদ্দিক (১৭) এর পরিহিত শার্ট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

এ সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩১, তারিখ-১০/১১/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

মামলাটি সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিঃ) মো এমরানুর কবীর তদন্ত করছেন এবং হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলমান আছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ