বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় নদী দখল করে ঘর নির্মাণ ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসী’ অভিযোগ পত্র প্রদান করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পত্র সুত্রে জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলাধীনস্থ মধ্যস্থান হরির্ণাপুতার মান্দারতলা মোড়ে, সরকারি সম্পত্তি “বড়কোনা’র বেতনা নদী” দখল করে পিলার স্থাপন করে। অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করছেন এক দুষ্কৃতকারী ভূমিদস্যু নাম মোঃ সাত্তার হোসেন সহ ছেলে রনি মিয়া। এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগে আরও জানা গেছে এ কাজে সহযোগিতা করছেন শার্শার ১০ নং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য – মোঃ তবিবর নামের এক ব্যক্তি। গণসাক্ষরীত উক্ত অভিযোগ পত্রে এলাকাবাসী উক্ত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন শাসনের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও তারা অভিযোগে জানিয়েছেন, এভাবে যদি নদী দখল হয়ে যেতে থাকে তাহলে এক সময় নদীর অস্তিত্ব বজায় রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। তখন আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকীর মুখে পড়বে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ থাকবে এইসব দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনের শাসন দ্বারা শাস্তির বিধান রেখে, অতি জরুরিভাবে প্রতিরোধ করা উচিত।
উল্লেখ্য, উক্ত গণসাক্ষরীত অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন, শার্শা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (ফারজানা ইসলাম) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (নারায়ণ চন্দ্র পাল) এর নিকট।
এ ঘটনায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, এলাবাসীর পক্ষে থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম ও জানান, দোকান ঘর যাতে নির্মাণ করতে না পারে তার জন্য ঐ ইউনিয়নের নায়েব এবং চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি তার মধ্যে অপসারণ না করে, তাহলে তাদের নামে মামলা করা হবে। এবং সরকারি ভাবে অপসারণ করা হবে, এতে লিবার খরচ যা হবে সব খরচ রনি মিয়াকে বহন করতে হবে বলে তিনি জানান।