এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রতিনিয়ত দালাল-প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। চলছিল নানা কৌশলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের নানা সুবিধার কথা বলে নির্দিষ্ট ঘরে নিয়ে টাকার নম্বর কোড লেখার ভুতুড়ে কান্ড ঘটিয়ে টেবিলের নিচে ফেলে দিত পাসপোর্ট যাত্রীর টাকা। এভাবেই চলতো সহজ সরল যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ধান্দা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটলেও চলতি বছরের ৫ই আগস্টের পর তেমন পুলিশের মাঠে দেখা মেলেনি। যার কারণে এই চক্রগুলো দিন দিন আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়েও মানুষের মনে বেশ কানাঘুষাও চলছিল। এমন অবস্থায় গতকাল দৈনিক যশোর বার্তা'সহ একাধিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। আজ সব কানাঘোষার অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকায় সকল প্রতারক চক্রের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী দেন এবং বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্টে অবস্থিত সাইনবোর্ড বিহীন ৮টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় একইসাথে ৪টি দোকান মালিককে সতর্ক বার্তা দেন পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে বেনাপোল থানার ওসি সুমন ভক্ত বেনাপোল চেকপোস্টের চৌধুরী সুপার মার্কেটের সামনে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে বলেন, পূর্বে এসব প্রতারক কাটিং চক্র নির্মূলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে আইনের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হযেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেশের দিক পরিবর্তনের কারণে পুলিশ কিছুটা নিস্ক্রিয় ছিল। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এই অপরাধী চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, এই বর্ডার এলাকায় যে সমস্ত প্রতারক চক্র বদনাম করেছে, কার্টিং করেছে, ছিনতাই করেছে তাদের জন্য এই হুশিয়ারী- এবার যদি তারা এসমস্ত কাজে লিপ্ত হয় তাহলে আমরা সম্পূর্ণ রূপে আমরা আমাদের আইন প্রয়োগ করবো। ইতিপূর্বে আমরা যেভাবে বর্ডার এলাকা পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো রেখেছি, এখনও আমরা একইভাবে আবারও কঠোর আইনিব্যবস্থা প্রয়োগ করে এই বর্ডারের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখবো।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বেনাপোল চেকপোস্ট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন হোসেন, পরিবহন কমিটির সভাপতি মোঃ বাবু সহ স্থানীয় সচেতন মহল।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে ওসি সুমন ভক্ত স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজদেরকে নিয়ে চিহ্নিত প্রতারক চক্রের ঘরগুলোতে নিজ হাতে তালা ঝুলিয়ে দেন।