এস এম মারুফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে দিনদিন ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ভিতরে যাত্রীদের জন্য জায়গা সংকটের কারণে প্রতিদিনই ব্যস্ততম মহাসড়কে অবস্থান নিচ্ছে এসব যাত্রী। প্রতিটি পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ৫৫ টাকা বন্দর ব্যবহার চার্জ নিলেও, নেই নুন্যতম যাত্রী সেবার মান এমনই অভিযোগ করেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
শুক্রবার (২১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর রাত হইতে পাসপোর্ট যাত্রীরা প্রথমে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে হইতে ঢাকা-কোলকাতা মহাসড়কে সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাড়ায়। ধিরে ধিরে প্রতিদিনের মতো পাসপোর্ট যাত্রীর লাইন দীর্ঘ হয়ে সাদীপুর রোড বেয়ে ব্রীজ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ঘন্টার কাটা যখন সকাল সাড়ে ৬টা তখন খোলা হয় ইমিগ্রেশন ঢোকার প্রধান গেইট। ধীরগতিতে প্রচন্ড গরমে রোদ্রে এভাবে দীর্ঘ লাইন বেশ পিড়াদায়ক হলেও নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে ভারতগামী এসব যাত্রীরা। তবে মাঝে মাঝে ক্ষোভও দেখা যাচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে।
এসময় কামরুল হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, বেনাপোল দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর হলেও দিনদিন পাসপোর্ট যাত্রীর সেবার মান নিম্ন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। এই গরমে বাচ্চা নিয়ে আমরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর হতে গেছে এখনো ইমিগ্রেশনের ভেতর প্রবেশ করতে পারিনি। জানিনা এ লাইনের শেষ কোথায়।
ইমদাদ নামে আরো এক যাত্রী জানান, আমরা ভ্রমণ ট্যাক্স কাটবো কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মাঝে ছোট্ট একটা ঘরে ৩/৪ জন বসে ট্যাক্স সেবা দিচ্ছেন। এখানের ভোগান্তী পেরিয়ে এবার টানা রোদ্রের মধ্যে দীর্ঘ লাইন।অথচ বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ ট্যাক্সের পাশাপাশি বাড়তি ৫৫ টাকা নিচ্ছেন যাত্রীর সেবার মান নিশ্চিত করতে কিন্তু যাত্রী সেবা বলতে এখানে কিছুই দেখছি না। তবে যাত্রী হয়রানী পদে পদে হচ্ছি যেটা পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে অনেকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন। যার কারণে যাত্রীর চাপ আছে। তবে যাত্রী সেবার মান নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের সর্বচ্ছ সেবা দেওয়া হচ্ছে।