নিউজ ডেক্সঃ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে অকটেন পাচারকালে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন উত্তর শীলখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৭টি ড্রামে সর্বমোট ৩,১৩৫ লিটার অকটেন জব্দসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত পাচারকারীরা হলো- কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন উত্তর শীলখালী (মাঝের পাড়া) গ্রামের মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে মোঃ নাজিম উল্লাহ (৩৭) ও মৃত সোনা আলীর ছেলে মোঃ হোছন (৪২)।
র্যাব জানায়, কক্সবাজারের সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী জ্বালানী তৈলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও ঔষধ সামগ্রী অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে। এতে করে একদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সাথে দেশীয় উপরোল্লিখিত খাদ্যদ্রব্য, অকটেন, ডিজেল ইত্যাদি দেশ হতে অন্য দেশে পাচার হওয়ার কারণে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। আর এসব পাচার রোধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২৪ মার্চ) সাড়ে ৪টার দিকে র্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়ন উত্তর শীলখালী এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের বাড়িতে কতিপয় ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ অকটেন মায়ানমারে পাচার করার উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি চৌকস টিম উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে কতিপয় লোকজন পালানোর চেষ্টাকালে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের ৫-৬ জন সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তাদের বসতঘরে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ অকটেন মজুদ রয়েছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তাদের হেফাজতে থাকা সর্বমোট ৫৭টি ড্রামে ৩,১৩৫ (তিন হাজার একশত পঁয়ত্রিশ) লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪,০৭,৫৫০/- (চার লক্ষ সাত হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ) টাকা।
গ্রেফতারকৃত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।