নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সিগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় টঙ্গীবাড়ি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভা করেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সবার প্রাণপ্রিয় প্রয়াত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুর সুযোগ্য সন্তান (বড় ছেলে) আরিফ হালদার। আসন্ন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ মত বিনিময় সবার আয়োজন করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে পিতার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ভোটারদের দারস্থ হচ্ছেন আরিফ হালদার। তিনি দিঘিরপাড়ের মৃত মমতাজ উদ্দিন হালদারের নাতি। তিনি দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান।
তার পিতা জগলুল হালদার ভুতু ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জগলুল হালদার প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতায় প্রতিপক্ষ হামলায় তার চাচাত দাদা ও চাচত কাকা খুন হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জগলুল হালদার চেয়ারম্যান হন। ১৯৯০ সালে সারাদেশে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়াম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক পান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তার পিতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
শনিবার (২রা মার্চ) টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভায় জানান, তারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। তিনি বলেন, আমার মরহুম পিতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এবং চাচা কবির হালদার এখনও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমার ভাইয়েরা সকলে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন।
তিনি আরো বলেন, টঙ্গীবাড়ীকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, অপরাধ, দুর্নীতি ও সামাজিক অসঙ্গতি মুক্ত পরিবেশবান্ধব করে গড়ার লক্ষ্য আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। আমার পিতাসহ আমি ও আমার পরিবারের সব সদস্যরা সারা জীবন আওয়ামীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছি।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জগলুল হালদার ভুতু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার দুই ছেলে আরিফ হালদার ও লুৎফর হালদার খুকু উপজেলার যথাক্রমে দিঘীরপাড় ও কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসময় আরিফ হালদার আরো বলেন, আমি টঙ্গীবাড়ীর মানুষের আশার ফলন ঘটাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আসন্ন নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে উপজেলাবাসী তার ফল দেখতে পারবেন। তিনি তার মৃত পিতার জন্য দোয়া কামনা করেন আর তাকে বিজয়ী করতে সকলের ভোট কামনা করেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। সাধারন সম্পাদক আবু বাক্কার মাঝি। সাংবাদিক শেখ সোহাগ। সাংবাদিক শামসুদ্দিন তুহিন। সাংবাদিক মো. নাজমুল ইসলাম পিন্টু। মাসুম হাসান আফিফ জহিরুল ইসলাম। অনিক হাসান, প্রমুখ।